টেকনাফে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ সড়ক দুর্ঘটনা ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহনণের পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
৩০ মার্চ ভোরে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার বনদস্যু গ্রুপের সদস্য ও মাদক কারবারী মো.হোসেন (২৬) কে নিয়ে স্থানীয় পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের এএসআই ফরহাদ, কনস্টেবল মাসুদ রানা ও ফাহিম এবং মো. হোছন আহত হন। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৩টি দেশীয় এলজি, ২ হাজার পিস ইয়াবা, ১২ রাউন্ড গুলি, ৪০ রাউন্ড বুলেটের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য ও গুলিবিদ্ধ হোছনকে উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। মো.হোসেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়ার নবী হোসেনের পুত্র। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং গুলিবিদ্ধ হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আটক মো.হোসেনকে নিয়ে অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র ইয়াবা বুলেট ও বুলেটের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ৪ টি মামলা রয়েছে।

এদিকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল জব্বার (৪০) নামে এক পথচারী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি উপজেলার হ্নীলা মৌলভী বাজার দক্ষিণ পাড়ার মৃত কালা মিয়ার পুত্র ও পাঁচ সন্তানের জনক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্বশুড় বাড়ি ফেরার পথে আইর পাড়ায় একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে লোকজন তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। হাইওয়ে পুলিশ এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গাড়িটি আটকের চেষ্টা করছে। নিহত ব্যক্তিকে প্রশাসনের অনুমতি স্বাপেক্ষে সকাল ১১টায় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

অপরদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঝাউগাছ হতে ঝুলন্ত অবস্থায় মো. রফিক ওরফে সানা মিয়া (২৪) এর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উত্তর জালিয়া পাড়ায় অবস্থানকারী রোহিঙ্গা সোলতান আহমদের পুত্র। টেকনাফ মডেল থানার এসআই জামশেদ ও বিবেকানন্দ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তার স্ত্রীও কিছুদিন আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। হতাশাগ্রস্থ হয়ে সে আত্মহনণের পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!