টেকনাফে কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্টিত

টেকনাফে কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্টিত 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ : পুুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে প্রতি বছর এই দিনে পালিত হয় কমিউনিটি পুলিশ ডে। অপরাধ দমনে কেবল পুলিশের আন্তরিকতাই যথেষ্ট নয়,প্রয়োজন স্থানীয় জনগনের সহযোগিতা,সম্পৃক্ততা ও গণসচেতনতা। জনগন যদি অপরাধ নির্মুলে সহযোগিতা না করে,কোনদিন অত্র এলাকার অপরাধ দমন করা সম্ভব হবে না। সেই কথাটি মাথায় রেখে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী জনগন পুলিশিং কাজে এবং বিভিন্ন প্রকার অপরাধ দমনে সহযোগিতা করতে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করেছে। এই কমিউনিটি পুলিশিং কাজের অগ্রগতি আরো বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে ২৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা সাধারন জনগনকে সাথে নিয়ে বের করে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি। র‌্যালি শেষে থানা প্রাঙ্গনে  অনুষ্টিত হয় এক আলোচনা সভা। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইর্নচাজ (ওসি)মোঃ মাইন উদ্দিন খাঁন।সভা পরিচালনা করেন (ওসি)অপারেশন শফিউল আজম,সভার শুরুতেই পুলিশ জনতা,জনতাই পুলিশ এই বিষয় নিয়ে গুরুপুর্ন স্বাগত বক্তব্য রাখেন মডেল থানার (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান, বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, উখিয়া+টেকনাফের সাবেক এমপি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী,টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজ্বী মোঃ ইসলাম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল বশর,টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি আলহাজ্ব নুরুলহুদা,সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ্ব সোনা আলী, টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী,টেকনাফ পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভা কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি মোঃ আলম বাহাদুর, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি হারুন সিকদার,টেকনাফ ক্রাইম সোসাইটি সভাপতি সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন ভুলু,সভায় বক্তারা বলেন,সীমান্ত এলাকা টেকনাফ উপজেলায় যেন কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ করতে কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য ও স্থানীয় জনগনকে পুলিশের ভুমিকা পালন করে স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে। বক্তারা আরো বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক ব্যবসা নির্মূলের করার জন্য,কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সেই কাজের সঠিক বাস্তবায়ন পেতে হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। এদিকে মানবিক দিক বিবেচনা করে সরকার অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অত্র এলাকার অনেক অসাধু ব্যক্তিরা রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে আদম বানিজ্যে লিপ্ত রয়েছে। এবং তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তার পাশাপাশি অসাধু ব্যক্তিরা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে। সেই সমস্ত অপরাধীদেরকে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের সজাগ থাকতে হবে। সমাপনী বক্তব্যে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) মাঈন উদ্দিন খাঁন আরো বলেন,রোহিঙ্গাদের পুজি করে আদম বানিজ্য করার অপরাধে গত ২৫ আগস্ট থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৪’শ জন দালালকে ভ্রাম্যমান আদলতের সহযোগিতায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। তার পাশাপাশি ২শ জনের অধিক মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারিকে আটক করা হয়েছে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইউপি  সদস্য, কাউন্সিলারও সংবাদকর্মিগন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!