টেকনাফে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় এক ছাত্রনেতাকে জড়ানোর অভিযোগ

টেকনাফে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় এক ছাত্রনেতাকে জড়ানোর অভিযোগ 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ : ৭ জুলাই টেকনাফের মহেষখালীয়া পাড়া থেকে গোপন সংবাদে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। উক্ত ইয়াবার চালানটি টেকনাফ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্রাহ’র খামার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ও ইয়াবা উদ্ধারের সময় দুই ইয়াবা পাচারকারী পালিয়ে যেতে দেখে পুলিশ। এই ঘটনায় জিয়াউর রহমানকে পলাতক আসামী করা হয়েছে। অথচ ঘটনার এক দিন আগে থেকে দুদকের একটি নোটিশের জবাব দিতে ৭ জুলাই জিয়া চট্রগ্রামে ছিল। ইয়াবা মামলায় আসামী ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ৮ জুলাই শনিবার বিকাল ৫টায় নিজ বাস ভবনে আব্দুল্লাহ’র ছোট ভাই জিয়াউর রহমান জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এতে তিনি বলেন, “মহেষ খালীয়া পাড়ার যে স্থান থেকে মালিক বিহীন ৫০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে আমি বা আমার পারিবারিক মালিকানাধীন কোন জমি ও খামার বাড়ির অস্তিত্ব নেই। বিভিন্ন পত্রিকায় ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত ইয়াবা উদ্ধারে আমাকে পলাতক আসামী করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, আজগুবি, ষড়যন্ত্রমূলক ও বানোয়াট। আমার রাজনৈতিক ও পারিবারিক প্রতিপক্ষরা সাংবাদিক বন্দুদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং অপরাধীদের আড়াল করতে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারই একটি অংশ বাস্তবায়ন করতে ইয়াবার মতো ঘৃণ্য মাদকের সাথে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানো হয়েছে। ইয়াবার মতো ঘৃণ্য পেশায় কোন দিন জড়িত ছিলাম না ও এখনো নেই। আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে আসছে। ইতি পূর্বেও আমাদের মালিকানাধীন ইটভাটা থেকে মন্দির পুড়ানো ও ভাংচুর মামলায় ইট ভাটার শ্রমিকদের আটক করে। এছাড়াও আমার বড় ভাই উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ দুই দুইবার উপজেলা নির্বাচন ও আমি গত ইউ’পি নিবার্চনে আমাদের নিশ্চিত বিজয়কে সামান্য ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে হারিয়ে দেওয়া হয়। আমার সত্তোর্ধ পিতা আলহাজ্ব আলী আহমদ চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত ও মামলায় আসামী করা হয়। আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (ফিলিং ষ্টেশন ভাংচুর, নাফ-কুইনে আগুন, আলো শপিং কমপ্লেক্সে হামলা) হামলা করে। এতেও প্রতিপক্ষরা ক্ষান্ত না হয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত মামলার আসামী করা হয়। আপনারা অবগত আছেন যে, আমাদের পরিবারের সদস্যরা বছরের পর বছর ধরে প্রতিহিংসা শিকার হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিষ্পাপ শিশু থেকে সত্তোর্ধ বৃদ্ধ পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না । টেকনাফে আমাদের উত্থান ও জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা এধরনের রুটিন মাফিক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ জুলাই ২০১৭ইং মালিক বিহীন ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা, মামলায় অর্ন্তভুক্তি ও আমি আমার পরিবারকে আগামী নির্বাচনে অযোগ্য প্রমাণিত করার জন্য ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই, এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত আজগুবি সংবাদে বিভ্রান্ত না হতে আইন শৃ্খংলাবাহিনী,সাংবাদিক বন্ধু, রাজনৈতিক, সু-শীল সমাজ ও শুভাকাঙ্খী সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি এবং সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসা ও পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আহবান জানাচ্ছি”।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!