টেকনাফে আত্মসমর্পণকারী ১০১ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

আত্মসমর্পণকারী ১০১ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহের আদালতে পুলিশ এ চার্জশিট জমা দেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত ১০২ জন ইয়াবা কারবারি। এদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা। এ নিয়ে আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে। আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের মধ্যে একজন কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘কারাগারে থাকা আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের মধ্যে ১০১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের দুটি মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়। এতে হাজতে থাকাকালীন সময়ে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আদালত চার্জশিট দুটি আমলে নিয়েছেন।’

চার্জশিটে যাদের নাম জমা দেওয়া হয়েছে তারা হলো- টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম মেম্বার, সামশু মেম্বার, সাহেদ রহমান নিপু, সাহেদ কামাল, নুরুল আমিন, আলী আহমদ, মৌলভী বশির, হোসেন আহমদ, শওকত আলম, রাসেল, ডেইল পাড়ার নুরুল আমিন, মুন্ডার ডেইলয়ের মনজুর, আলীর ডেইলের জাফর আহমদ, আবদুল হামিদ, শামীম, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, আলমগীর ফয়সাল, ডেইল পাড়ার মো. সাকের মিয়া, নয়াপাড়ার মো. তৈয়ব, টেকনাফ পৌর এলাকা ও সদর ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, দিদার মিয়া, আবদুল আমিন, নুরুল আমিন, শফিকুল ইসলাম সফিক, ফয়সাল রহমান, আবদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ, দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার ইমাম হোসেন, বড় হাবিব পাড়ার ছিদ্দিক, পুরনো পল্লানপাড়ার শাহ আলম, অলিয়াবাদের মারুফ বিন খলিল বাবু, মৌলভী পাড়ার একরাম হোসেন, মধ্যম ডেইল পাড়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মংমং ছেং ওরফে মমচি ও দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার জুবাইর হোসেন, মধ্যম জালিয়া পাড়ার মোজাম্মেল হক, ডেইল পাড়ার আবদুল আমিন, নাজির পাড়ার এনামুল হক মেম্বার, ভুট্টোর ভাগিনা আফসার, আবদুর রহমান, সৈয়দ হোসেন, মো. রফিক, মো. হেলাল, জামাল হোসেন, মৌলভী পাড়ার মো. আলী, নাইটং পাড়ার মো. ইউনুস, উত্তর লম্বরীর আবদুল করিম ওরফে করিম মাঝি, সদর কচুবনিয়ার বদিউর রহমান, রাজার ছড়ার আবদুল কুদ্দুস, জাহালিয়া পাড়ার মো. সিরাজ, নতুন পল­ানপাড়ার মো. সেলিম, নাইট্যং পাড়ার মো. রহিম উল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মোহাম্মদ আলম, তুলাতলীর নুরুল বশর, হাতিয়ার ঘোনার দিল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হাছন, রাজার ছড়ার হোসেন আলী, উত্তর জালিয়াপাড়ার নুরুল বশর মিজি, আবদুল গণি, জালিয়াপাড়ার মো. হাশেম, পুরান পল্লানপাড়ার ইসমাইল, নাইট্যংপাড়ার আইয়ুব, নুর হাবিব, মাঠপাড়ার কামাল, শিলবনিয়াপাড়ার আয়ুব, জালিয়াপাড়ার আলম, নুরুল আলম, বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজ পুরার নুরুল আলম, শামলাপুর জুমপাড়ার শফি উল্লাহ, ছৈয়দ আলম, উত্তর শীলখালীর মো. আবু ছৈয়দ, হ্নীলা ইউনিয়নের হ্নীলা পশ্চিম লেদার নুরুল হুদা মেম্বার, আলী খালীর জামাল মেম্বার, শাহ আজম, পশ্চিম সিকদারপাড়ার ছৈয়দ আহমদ, রশিদ আহমদ, পশ্চিম লেদার নুরুল কবীর, পূর্ব লেদার জাহাঙ্গীর আলম, জাদিমোরার মোহাম্মদ হাসান আবদুল্লাহ, লেদার ফরিদ আলম, মো. হোছন, জহুর আলম, আবু তাহের, বোরহান, হামিদ, রবিউল আলম, আলীখালীর হারুন, হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার মাহাবুব, বাজারপাড়ার মো. শাহ, পূর্ব পানখালীর নজরুল ইসলাম, পশ্চিম পানখালীর নুরুল আবছার, ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী, আলী নেওয়াজ, আবু তৈয়ব ও রমজান ও কক্সবাজারের শাহজাহান আনসারী।

এএইচ