টার্গেট ব্যক্তির পিছু নিয়ে নির্জনে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি করে ওরা

ওরা ছদ্মবেশি ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে ছদ্মবেশে ঘোরাঘুরি করে। আর টার্গেট করা ব্যক্তির পিছু নেয়। সুযোগ বোঝে নির্জন জায়গায় গতিরোধ করে অস্ত্র ঠেকিয়ে সব লুটে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ওরা— একটি মামলার সূত্র ধরে ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শুক্রবার (২৬ জুন) চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় দুই রাউন্ড কার্তুজসহ একটি দেশিয় অস্ত্র, তিনটি ছোরা, দুটি মোটরসাইকেল ও ৫০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (দক্ষিণ জোন) সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, পুলিশ পরির্দশক কামরুজ্জামান, এসআই সজল কান্তি দাশ, এসআই সুকান্ত বিশ্বাস, এসআই এইচএম এরশাদ উল্লাহ, এসআই কেএম তারিকুজ্জামান, এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস, এএসআই রুহুল আমিন, এএসআই সাইফুল আলমসহ কোতোয়ালী থানার একটি টিম এই অভিযানে অংশ নেয়।

গ্রেপ্তার ৬ জন হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর হালিরচর কালা মিয়া সওদাগরের বাড়ির জয়নাল আবেদীনের পুত্র মো. কামাল হোসেন (৩০), চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার ৮ নম্বর শুলকবহর এলাকার মৃত ইউনুছের পুত্র মোক্তার হোসেন (২২), সাতকানিয়া উপজেলার দোলার পাড়া ফজল হাজি বাড়ির মৃত নুরুল কবিরের পুত্র সাদ্দাম (২৬), ফটিকছড়ি উপজেলার বিবির বাজারের দক্ষিণ ধুরং এলাকার কোরবান আলী প্রকাশ মুনু ড্রাইভারের পুত্র শের আলী (৩২), আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর গ্রামের সৈয়দ বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল আলমের পুত্র মাসুদুর রহমান (৪০) ও সীতাকুণ্ড উপজেলা ফৌজদারহাট নিচের বাজার এলাকার হোসেন মাস্টার বাড়ির মৃত শামছুল হকের পুত্র মো. এরশাদ (৩৩)।

এর আগে গত ১৬ জুন দুপুর দেড়টার দিকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে আসার পথে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের পশ্চিম গেইট এলাকায় মো. ফারুক আহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জোর করে ৫ লাখ টাকাসহ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে ওই ডাকাত দল। এ ঘটনার পর একটি মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘ডাকাত চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নগরে ডাকাতি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। একটি মামলার সূত্র ধরে ভিডিও ফুটেজ দেখে টানা অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ডাকাত দল মূলত ইশারা ইঙ্গিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে টার্গেট করা ব্যক্তির পথ গতিরোধ করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। একটি ডাকাতির ঘটনার পর চক্রটি কিছুদিনের জন্য আত্মগোপনে চলে যায়। লুটের টাকা শেষ হয়ে গেলে তারা পুনরায় একত্রিত হয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করে। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছে এই চক্র। গ্রেপ্তার ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!