টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত

ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা। সেই সাথে জোয়ারের পানি জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি আরো জটিল করেছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে চট্টগ্রামে যে কোন সময় ঘটতে পারে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা।

পহেঙ্গা আবহওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০৪.০৪ মিলিমিটার। আরো ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। চট্টগ্রামে যে কোন সময় পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেতে পারে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের জন্য ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরের জন্য ১ নম্বর নৌ-সতর্কতা সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ০৬ টা থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ( শুক্রবার) সন্ধ্যা ০৬ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আকাশ মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেই সাথে অধিকাংশ জায়গায় অস্হায়ী দমকা/ঝড়ো বাতাসের সাথে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরীতে টানা দুই ঘণ্টার ভারী বর্ষনে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। নগরীর প্রবর্তক মোড, দুই নম্বর গেইট, আগ্রাবাদ, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বাকলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠে যায়। অফিসগামী যাত্রী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।

আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আতাউল্লাাহ সোহেল জানান, এই এলাকায় জোয়ারের পানিতে তালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিত্য দিনের। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। বৃহস্পতিবার টানা বৃষ্টির কারণে আবাসিক এলাকার অধিকাংশ বাসার নিচতলায় পানি ঢুকে গেছে।

টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গণপরিবহন থেকে শুরু করে রিক্সা, অটোরিক্সায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেছে চালকরা।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!