ঝুলে আছে টাইগারদের প্রধান কোচ নিয়োগ

আরেকজন কোচ নিশ্চিত হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে টাইগারদের প্রধান কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় জানানো হয়। প্রধান কোচ চেয়ে বিসিবি ঘটা করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেয়। যদিও বিসিবি প্রধান নিজেই স্বীকার করেছেন হাইপ্রোফাইল কোচরা বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন না, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। সেই যোগাযোগের কী অবস্থা আর বিজ্ঞাপনের আলোকে আবেদনই বা কারা করেছেন সেই সব জানতে উদগ্রীব দেশের ক্রিকেট ভক্তরা।

তবে হেড কোচ নিয়োগ দেয়া না হলেও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পিন কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফগানিস্তানকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে সাবেক পেসার প্রোটিয়া পেসার ল্যাঙ্গাভেল্টের। ভেট্টোরির অভিজ্ঞতা টি-২০ লিগে দায়িত্ব পালন। তবে সাকিব-তামিমদের প্রধান কোচ নিয়ে ঝামেলায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।

তারও বেশ কিছু কারণ আছে। বরখাস্ত হওয়া স্টিভ রোডসের মতো অনভিজ্ঞ কাউকে দায়িত্ব দিতে চায় না বোর্ড। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি আছে এমন কাউকে খুঁজছেন বিসিবি কর্তারা। যিনি পুরো মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন। ভেট্টোরির মতো দিনভিত্তিক চুক্তি কিংবা ক্লাব কোচের অভিজ্ঞতা হলে হবে না। কিন্তু টি-২০ ফ্রাঞ্চাইজির যুগে সব শর্ত পূরণ হওয়া কঠিন।

ওদিকে বেশ কিছু বড় দল কোচ শূন্য। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। শ্রীলংকার ক্রীড়ামন্ত্রী হাথুরুসিংহেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আবার লংকান ক্রিকেট বোর্ড নিউজিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত হাথুরুকে ধরে রাখতে চায়। ইংল্যান্ড কোচ ট্রেভর বেলিস চাকরি ছেড়েছেন। বাংলাদেশের যে কোচদের পছন্দ তারা ভারত-ইংল্যান্ডের দিকেই ঝুঁকছেন।

যেমন গ্যারি কারস্টেন ভারতের কোচের পদে আবেদন করেছেন। আবার ইংল্যান্ডের কোচ হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার ইংল্যান্ডের কোচ হতে চান বলে জানা গেছে। টম মুডির সঙ্গে আলাপ করেছে বাংলাদেশ। তিনিও ভারত-ইংল্যান্ডের কোচ হতে আগ্রহী। মধ্যে শ্রীলংকার কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে আবার বাংলাদেশে ফিরতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। তাকে নিতে গেলেও নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় মাস খানেক অপেক্ষা করতে হবে। মাহেলা জয়বর্ধনের সঙ্গে কথা হয়েছে বোর্ডের। তিনি জুড়ে দিয়েছেন শর্ত।

এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বড় কোচরা আবেদন করেন না। তারা এজেন্ট দিয়ে মূলত যোগাযোগ করেন। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তারাও শর্ত দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। কেউ কেউ বিভিন্ন দেশের টি-২০ লিগে কোচিং করান। তারা ওই লিগের সময় ছুটি নেওয়ার শর্ত দিচ্ছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ নিয়োগের বিষয়টি তাই ঝুলে আছে।

বিসিবি’র কর্মকর্তা জালাল ইউনুস জানান, ‘পুরো সময়ের জন্য প্রধান কোচ পাওয়া যাচ্ছে না। আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’ সিইও নিজামউদ্দিন বলেন, ‘ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে আছেন অনেকে। ভারত কোচ নিয়োগ দেওয়ার পর আমরা জোরেশোরে নামব। অনেকের সঙ্গেই কথাবার্তা হয়ে আছে। আমরা পূর্ণ সময়ের জন্য কোচ চাই, যার আন্তর্জাতিক পরিচিতিও রয়েছে।’ এই দৌড়ে মাহেলা জয়াবর্ধনেও ছিলেন। সিইও জানান, মাসে ৫৫ হাজার ডলার চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শর্ত দিয়েছিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য ছাড় চান তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!