ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঘূর্ণিঝড়, গ্রাম পুলিশদের কার্যক্রম : পেকুয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণার ১০ বছর পরেও সরানো হয়নি ভবন

মুকুল কান্তি দাশ ও ইমরান হোসাইন,চকরিয়া-পেকুয়া:

পরিত্যক্ত ঘোষণার ১০ বছর ফেরিয়ে গেলেও সরানো হয়নি কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনটি। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটি যেকোনো সময় ধ্বসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।

pic-01-chakaria-31-10-16

আর এতে ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনাও। সত্তর দশকের শুরুর দিকে স্থাপিত দ্বিতল ভবনটি ২০০৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দশ বছরেও তা সরিয়ে নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সত্তর দশকের শুরুর দিকে নির্মিত এই ভবনটিতে ২০১৩ সালের ২৬ জুন রাতে এই ভবনের ২য় তলার ছাদের একাংশ ধ্বসে পড়ে তিনজন আহত হয়। ভবনটি যেকোন মহুর্ত্বে পুরোপুরি ধ্বসে পড়তে পারে। তাই এর নিচ দিয়ে চলাচল করতেও ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাদ বলতে শুধুমাত্র মরিচা ধরা লোহার রডই আছে। বাকি সব নিচে খসে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে সব দরজা জানালা। পুরো ভবনের দেয়াল ও ছাদে সৃষ্ট ফাটল চোখে পড়ার মত। দেয়ালে জন্মানো পরগাছা আস্ত গাছে রূপান্তরিত হয়েছে। অন্ধকার ও ভবনের নাজুক অবস্থার কারণে ভিতরে ঢুকতেই ভয়ে গা শিউরে উঠে।

 
কিন্তু এরপরেও ব্যবহার করা হচ্ছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি। ভবনটির নীচ তলায় এখনো রয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচি (সিপিপি)’র পেকুয়া সদর ইউনিয়ন কার্যালয়, গ্রাম পুলিশদের বিশ্রামাঘার, ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম। এমনকি ইউপি কার্যালয়ের ভিজিডি, ভিজিএফ কার্যক্রম পরিচালিত হয় ওই ভবনের নিচতলা থেকে।

pic-02-chakaria-31-10-16
বিগত ২৩ বছর ধরে উক্ত ভবনে নিয়মিত অফিস করা সিপিপি’র পেকুয়া সদর ইউনিয়নের টিম লিডার মঞ্জুর আলম বলেন, কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো সত্বেও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অফিসিয়াল কাজ সারতে চরম ঝুঁকি নিয়ে ভবনটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই ভবনের নিচে জনসাধারণকে না বসার জন্য ইতিমধ্যে বলা হয়েছে।

 
এ ব্যাপারে পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, ঝুঁকিপুর্ণ ভবনটি সরানোর জন্য ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে অনেকবার পত্র পাঠানো হলে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

 
তিনি আরো বলেন,২০১৩ সালে জেলা প্রশাসক ভবনটি পরিদর্শন করে তা মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও সরানোর কোন ব্যবস্থা নেননি। আমার আগের চেয়ারম্যানও ভবনটি সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার পত্র দিয়েছেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

 
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খাঁন বলেন,ভবনটি সরানোর জন্য জেলা প্রশাসকের কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় এতদিন সরানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে, এটি দ্রুত সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!