ঝুঁকি এড়াতেই জামালখানে শৈবালের বিকল্প প্রার্থী সুজয়!

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আরও ৭ জন। শৈবাল দাশ সুমনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া ওই ৭ জনের একজন আবার শৈবাল দাশ সুমনের বড় ভাই রাজিব দাশ সুজয়।

চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন সুমন ও সুজয়।

শৈবাল দাশ সুমনের বড় ভাই সুজয় পেশায় একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)’র পরিচালক তিনি। গত নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই সুজয়ের সমর্থনে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে আসেন সুমন।

এবারে কাউন্সিলর পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থন ঘরে তুলতে পারলেও ঘরের মধ্য থেকেই প্রতিদ্বিন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। দুই ভাইরের এক সাথে মনোনয়ন জমা দেয়াকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কৌতুহলের জন্ম নিয়েছে। কেউ বলছেন- দলীয় মনোনয়ন পেলেও প্রার্থীতা হারানোর ভয় আছে শৈবাল দাশ সুমনের। তাই ঝুঁকি এড়াতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তার ভাইও।

এ বিষয়ে জানতে শৈবাল দাশ সুমনের মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে শৈবাল দাশ সুমনের বড় ভাই রাজিব দাশ সুজয় বলেন, আমি ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। কাউন্সিলর পদে তিনি ভাইয়ের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুজয় বলেন, সবে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। এখনও অনেকগুলো প্রক্রিয়া বাকি। দেখা যাক।

২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দেয়া বাকি প্রার্থীরা হলেন- এমএ নাসের, মো. মহসীন, ফরহাদুল ইসলাম চৌধুরী রিন্টু, বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, মো. হান্নান, সুচিত্রা গুহ টুম্পা।


এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!