ঝাঁক ঝাঁক ইলিশ নিয়ে ফিরছেন কক্সবাজারের জেলেরা

মুখে হাসি, ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে কক্সবাজারের ফিশারিঘাটে ফিরছেন জেলেরা। জালে ধরা পড়া ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের ঝলকে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৎস্য আড়তদার, ফিশিং ট্রলার মালিক ট্রলারের মাঝিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। টানা ২২ দিনের প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা ফুরালে ইলিশ শিকারে সাগরে যান কক্সবাজারের জেলেরা। কক্সবাজার জেলার একমাত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নুনিয়ারছড়ার ফিশারি ঘাটে এখন ইলিশের মেলা।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে সরেজমিন গিয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (ফিশারি ঘাট)দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞার পর ফিশিং ট্রলারগুলো সাগরে ফের মাছ শিকারে গিয়েছিল এদের বেশিরভাগই ফিরে এসেছে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে। আর আড়তদাররা সেই ইলিশগুলো বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়াজাত করছেন। পাইকাররা মাছ কিনে বরফ দিয়ে সাজিয়ে বাতাস নিরোধক কার্টনে ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বর্তমানে ইলিশে সয়লাব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ছোট-বড় সব মোকাম।

এদিকে, আবারো তরতাজা ইলিশ কিনতে সাধারণ ক্রেতারা ভীড় করেছেন কক্সবাজারের ফিশারি ঘাটে। সব মিলিয়ে আড়তদার, জেলে ও ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত ফিশারি ঘাট।

শনিবার সকালে ফিশারি ঘাটে কথা হয় নাজিম উদ্দিন নামের এক মাঝির সাথে। তিনি বলেন,‘বর্তমানে অদূর সাগরে যেতে হচ্ছে না মাছ শিকারের জন্য। অল্প গেলেই হাতের নাগালে চলে আসছে দারুণ স্বাদের ইলিশ। আর পর্যাপ্ত মাছ পেয়ে সন্তুষ্ট আমি। ছোট ইলিশের সঙ্গে বড় আকারের ডিমওয়ালা ইলিশও ধরা পড়ছে সাগরে।’

Cox's-Bazaar-Hilsa-2

হাবিব উল্লাহ নামের এক জেলে বলেন, ‘ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় কয়েকদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে অনেকটা কষ্ট করতে হয়েছে। অবশেষে নিষেধাজ্ঞা শেষে জালে মাছ পড়তে শুরু করছে। এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’

ফিশারি ঘাটে মাছ কিনতে আসা ঘোনারপাড়ার রতন দাশ জানান, ‘যে ট্রলারগুলো আসছে সবগুলোই ইলিশে ভর্তি। দামও অনেকটা সস্তা।’

কক্সবাজার হাঙ্গর মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুসহ কয়েক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, ‘ইলিশ ধরতে না পারায় ২২ দিন ধরে মাছঘাটে ইলিশ ছিল না। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে তারা খুশি। এদিকে সবার সহযোগিতায় ইলিশ সংরক্ষণ ও উৎপাদন ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আগামী মার্চ-এপ্রিলে যে জাটকা অভিযান চলবে, এটাকে যদি সঠিকভাবে বজায় রাখতে পারি তাহলে ইলিশের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!