জোয়ারে প্লাবিত চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা, ঝুঁকিতে ইপিজেডের দেড়শ পরিবার

সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। বেলা সাড়ে এগারটার পর হয়েছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাতও। বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে সৃষ্ট ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’ এর প্রভাবে বেড়ে যায় জোয়ারের পানিও। এসময় সাগরপাড়ের উপকূলীয় এলাকায় বেশকিছু ভাসমান ঘর-বাড়ি ও মাছের আড়ৎ তলিয়ে গেছে।

এদিকে, দিনের বেলায় ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’ এর প্রভারে পরিস্থিতি সামাল দিলেও মধ্যরাতে জোয়ারের পানি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে সাগরপাড়ের অস্থায়ী ভাসমান প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার রয়েছে ঝুঁকিতে -এমনটাই আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার আকমল আলী বেড়িঁবাধ এলাকার সাগরপাড় উপকূলীয় এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। দুপুর দুইটায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত অনেককেই সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে দেখা গেছে।

বুধবার (২৬ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আকমল আলী বেড়িঁবাধ এলাকায় মাছের ঘোনার পাড়ের উপরে প্রায় দেড় শতাধিক টিনশেডের নির্মিত পরিবার বসবাস করছেন। বেলা এগারটার পর থেকে ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’ এর প্রভাবে বেড়িবাঁধ উপকূলীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি।

সাগর কিনারায় থাকা বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি ও মাছের আড়ৎ পানিতে তলিয়ে যায়। সাগরপাড়ের কয়েকজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’ প্রভাব না থাকায় আমরা এতো গুরুত্ব দেয়নি। সকালে জোয়ারের এমন পানির স্রোত ছিল, যা গত ৭ বছরেও দেখিনি। সকাল থেকে কোনো রান্না করা হয়নি। অনেকেই ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

তবে মধ্যরাতে জোয়ারের পানির বাড়ার শঙ্কায় কেউ কেউ চলে গেলেও বেশিরভাগই সরছেন না উপকূল থেকে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’ ও পূর্ণিমার প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের উপকূলবর্তী জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।

জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছি। ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’ পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ইসমাইল সুকানির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। ওয়ার্ড কার্যালয়ও খোলা রাখা হয়েছে। কেউ সেখানে আশ্রয় নিলে তাদেরকে দুপুর খাবার ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।’

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!