‘জেন্ডার সংবেদনশীল সাংবাদিকতা কর্মশালা’ কক্সবাজারে ৩০ সাংবাদিক পেলেন সনদ

জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেনের উদ্যোগে এবং জার্মান ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলে একাডেমির সহযোগীতায় কক্সবাজারে জেন্ডার সংবেদনশীল সাংবাদিকতা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) এই কর্মশালার শেষ দিনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৩০ জন স্থানীয় সাংবাদিকদের সনদ এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেনের কমিউনিকেশন অফিসার মাহমুদুল করিম, ডয়েচে ভেলে কক্সবাজারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও ট্রেইনার মাইনুল ইসলাম খান এবং ডয়েচে ভেলে কক্সবাজারের কো-প্রজেক্ট ম্যানেজার ও ট্রেইনার মাফিয়া মুক্তা।

কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে বিশেষ ট্রেইনার হিসেবে জার্মানি থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন ডয়েচে ভেলে একাডেমির ডিসপ্লেসমেন্ট এন্ড ডায়লগ প্রকল্প পরিচালক এবং ট্রেইনার আন্দ্রিয়া মার্শাল। তৃতীয় দিনে ট্রেইনার হিসেবে ব্যাংকক থেকে যুক্ত হয়েছিলেন ইউএন উইমেনের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের রিজিওনাল কমিউনিকেশন এন্ড ক্যাম্পেইন স্পেশালিষ্ট গিজেম ইয়ারবিল। এছাড়াও এই দিনে জেন্ডার সমতা নিয়ে ইউএন উইমেনের জেন্ডার প্রোগ্রাম অ্যনালিস্ট নাদিরা ইসলাম একটি সেশন পরিচালনা করেন।

কর্মশালায় উপস্থিত সাংবাদিকগণ জেন্ডার সংবেদনশীল সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে জেন্ডার সংবেদনশীলতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং জেন্ডার সংবেদনশীল সাংবাদিকতা নিয়ে গ্রুপ ওয়ার্কে অংশগ্রহণ করেন।

তিন দিনব্যাপি কর্মশালার শেষ দিনে সমাজে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলের ব্যাপারে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের পেশায় নারীরা কতটুকু ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছেন তা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। গতানুগতিক চিন্তা-ধারায় নারীদের সংজ্ঞায়িত না করে নারীর ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করার জন্যে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, সাংবাদিকতা একটি সংবেদনশীল পেশা। কেবল জেন্ডার-সংবেদনশীল নয়, প্রতিটি প্রতিবেদন তৈরি করার ক্ষেত্রেই সংবেদনশীলতার বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত। আমরা কক্সবাজারের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করব। কক্সবাজারের প্রচুর বিদেশি রয়েছে; আমাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নতি করা উচিত যাতে আমরা আন্তর্জাতিক পরিবেশে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে পারি। আমি ইউএন উইমেন এবং সমস্ত ইউএন এজেন্সিকে অনুরোধ করছি যে তারা এ জাতীয় প্রশিক্ষণ যেনো নিয়মিত আয়োজন করে, যাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের দক্ষতার আরও উন্নয়ন হয়।

ইউএন উইমেন কক্সবাজার সাব-অফিসের প্রধান ফ্লোরা ম্যাকুলা স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে এবং মিডিয়ায় নারীকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে গতানুগতিক চিন্তাধারার পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সমাজে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। তিনি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদানকে তুলে ধরতে মিডিয়াকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী সাংবাদিকদের এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করার জন্য ইউএন উইমেনকে ধন্যবাদ জানান। এই প্রশিক্ষণ-কর্মসূচি সাংবাদিকরা আরও জেন্ডার-সংবেদনশীল হয়ে তাদের কাজ করতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!