জেনে নিন সূর্যগ্রহণের সময় কী করবেন, কী করবেন না

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখবে বিশ্ব। যেহেতু পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ এসে পড়ে এই গ্রহণ। ফলে আগুনের একটা বলয় আকাশে দেখা যাবে। যাকে ‘রিং অফ ফায়ার’ বলছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সূর্যের আলোর ছটা চাঁদের দুদিক দিয়ে প্রতিফলিত হয়ে এই বলয় তৈরি করবে যা পৃথিবীর মানুষ ‘আগুনের বলয়’ হিসেবে দেখবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এক মুহূর্তের জন্যও সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়। এমনকি যদি গ্রহণে ৯৯ শতাংশ সূর্যকেও ঢেকে ফেলে চাঁদ, তাহলেও অবশিষ্ট রশ্মি চোখের ক্ষতি করার পক্ষে যথেষ্ট।
খালি চোখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সূর্য গ্রহণ দেখলেও তা রেটিনার উপর প্রভাব ফেলে। যার কারণে একটা চোখে দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারে মানুষ। তাই খালি চোখে এই গ্রহণ দেখতে না করেছে নাসা।
পেরিস্কোপে, টেলিস্কোপ, সানগ্লাস বা দূরবীন, কোনও কিছুর সাহায্যে গ্রহণ দেখার সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকাতে বারণ করা হয়েছে। গ্রহণের সময় সূর্য রশ্মি অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে যা চোখে প্রভাব ফেলতে পারে।
সানগ্লাস বা ঘষা কাঁচ দিয়েও এই গ্রহণ দেখতে বারণ করেছে নাসা। কারণ এইগুলো নিরাপদ না।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিশেষ গ্রহণ গ্লাস বা সোলার ফিল্টার দিয়েই এই গ্রহণ দেখা উচিত।
বাজারে আইএসও স্বীকৃত বিশেষ সোলার গ্লাস দিয়ে একমাত্র এই গ্রহণ দেখা নিরাপদ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যথাযথ সোলার ফিল্টার যার তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সঠিক অপটিক্যাল ঘনত্ব রয়েছে তা দিয়ে গ্রহণ দেখা যেতে পারে। যথাযথ স্থূলত্বের অ্যালুমিনিয়াম মিলার ফিল্ম এবং দৃশ্যমানতা যুক্ত কালো পলিমারও নিরাপদ। এগুলি গ্রহণ দেখার বিশেষ গগলসে থাকে। ওয়েল্ডার্স গ্লাস নম্বর ১৪-ও সোলার ফিল্টার হিসেবে দারুণ কার্যকর। তবে পিনহোল ক্যামেরা অথবা টেলিস্কোপ প্রোজেকশনের মাধ্যমে সূর্যগ্রহণ দেখাই গ্রহণ দেখার সেরা উপায়। অন্যদিকে সানগ্লাস, স্মোক গ্লাস, কালার ফিল্ম দিয়ে গ্রহণ দেখা একেবারেই উচিত নয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!