জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণা : সিএসসিআর হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে অব্যাহতি

প্রতিদিন রিপোর্ট :

চট্টগ্রামে বেসরকারী ক্লিনিক সিএসসিআরে চিকিৎসক দম্পতি’র জীবত নবজাতকে মৃত্যু ঘোষণা ঘটনায় হাসপাতালটির চিকিৎসার সাথে যুক্ত থাকা দুই ডাক্তারকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন।

child-cscr-1অব্যাহতি দেয়া দুই চিকিৎক হলেন, হাসপাতালটির লেবার রুমের দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক রুমা আকতার ও গাইনি ওয়ার্ডের ইকবাল হোসাইন।

এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে জীবিত নবজাতককে কেন মৃত ঘোষণা করা হল এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন,চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.শাহ আলমকে প্রধান করে ডেপুটি সিভিল সার্জন অজয় কুমার দে ও সিভিল সার্জন চট্টগ্রামের প্রধান সহকারী সাহেদুল ইসলামকে সদস্য করে কমিটিটি গঠন করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসসিআর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল আহমেদ বলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও আমরা দুই পক্ষই পৃথকভাবে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সেই প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত কর্তব্যরত চিকিৎসক ইকবাল হোসাইন ও রুমা আক্তারের হাসপাতালে সব ধরণের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’

এদিকে অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবজাতকটি বুধবার দুপুর দেড়টায় মারা যান। ম্যাক্স হসপিটাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.লিয়াকত আলী খান জানান,নবজাতকটি অপরিপক্ক ছিল।বয়স হয়েছিল ৭ মাস। ওজন মাত্র ৫০০ গ্রাম। অনেক চেষ্টা করেও বাচ্চাটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

এ সময় বাচ্চাটিকে দেখতে এসে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ওই সময় মৃত ঘোষনা করা না হলে হয়তো বাচ্চাটি বাঁচতো।

উল্লেখ্য গত ৩ অক্টোবর সোমবার দিনগত রাত একটায় নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে নবজাতকটির জন্ম দেন ডা. রিদওয়ানা কাউসার। কিন্তু রাত সাড়ে তিনটায় তাকে মৃত ঘোষণা করে প্যাকেটে ভরে ফেলে হাসপাতালের দায়িত্বরতরা। সন্দেহ হলে মা ডা. রিদওয়ানা কাউসার প্যাকেট খুলে দেখেন তার বাচ্চা নড়াচড়া করছে। এরপর তাকে আরেক বেসরকারি হাসপাতাল ম্যাক্সের এনআইসিইউতে (নিউনাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ভর্তি করা হয় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বাচ্চাটি।

পি এন

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!