জীবন বাঁচাতে সাঁতার শেখানো হচ্ছে লামায়

সাঁতার না জানার কারণে প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যায় অনেক শিশু-কিশোর। দেশে ঘণ্টায় গড়ে দু’জন ছেলে-মেয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে স্কুল-কলেজের সব শিক্ষার্থীকে সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷

‘সাঁতার শিখুন, জীবন বাঁচান’-এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় শুরু হয়েছে সাঁতার শেখানোর ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি। বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০১৯-২০২০ এর অধীনে গত ১৯ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী বিনামূল্যে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলে এ প্রশিক্ষণ। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষার্থীকে এ কর্মসূচিতে সাঁতার শেখানো হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ সাঁতার না কেটে কিভাবে জলে ভেসে থাকা যায় তা শেখানো হচ্ছে এ প্রশিক্ষণে। এতে কোনো শিশু পানিতে পড়লেও উদ্ধারকারী দল না পৌঁছা পর্যন্ত নিজেকে পানিতে ভাসিয়ে রাখতে পারবে।

প্রশিক্ষণার্থীদের কয়েকজন বলেন, আগে পানিতে নামতে ভয় লাগতো। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখন নিজেকে পানি থেকে রক্ষা করতে পারব-সে মনোবল সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর আসে। কারণ একটাই- সাঁতার না জানা। সাঁতার না শিখে পানিতে নামা যায় না বা উচিত নয়। এতে মুক্ত সাঁতার, পিঠ সাঁতার, প্রজাপতি সাঁতার ও বুক সাঁতারের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে আরো শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে ২৫ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেন সাবলীলভাবে যে কেউ সাঁতরাতে পারে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে যাবে।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি বলেন, পানি থেকে জীবনরক্ষায় সাঁতার প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রত্যেক অভিভাবকের উচিত তাদের সন্তানদের সাঁতার শেখানো।

সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!