বিশেষ প্রতিনিধি : চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমি কোনো দুর্নীতি করার জন্য সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে আসিনি। সিটি করপোরেশনকে আমি দলীয়করণমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রাম নগরবাসীকে কিছু দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই মেয়র হয়েছি। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে যেতে চাই। আমার জীবন দিয়ে হলেও আমি নগরবাসীর সেবায় কাজ করব।
সোমবার (৩১ জুলাই ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আ জ ম নাছির এসব কথা বলেন।
দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরপূর্তি, নগরীর উন্নয়নে মেয়রের কার্যক্রম নগরবাসীর সামনে তুলে ধরতে ও নগরীর সুধীজনের পরামর্শ গ্রহণ করতে সিটি করপোরেশন এই সুধী সমাবেশের আয়োজন করে।
আ জ ম নাছির বলেন, কখনো দলীয়করণ, দুর্নীতি করতে হলে আমি স্ব-ইচ্ছায় মেয়রের পদ ছেড়ে হাসিমুখে বিদায় নিব।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা প্রকৃতির সৃষ্ট। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে ২০৪৫ সালে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ মিটার হওয়ার কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণার বাইরে ২০১৭ সালেই সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ ছাড়িয়ে ৪ দশমিক ৫৪ মিটার হয়েছে। এর ফলে নগরী থেকে দ্রুত পানি সমুদ্রে চলে যাচ্ছে না। বাড়ছে জলাবদ্ধতা।
মেয়র বলেন, সব দায়িত্ব একা মেয়রের নয়। নাগরিক হিসেবেও আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। যারা খাল দখল করছেন, যারা নালা নর্দমা দখল করছেন তারা জানেন এর কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। কিন্তু নাগরিক দায়িত্ব পালন না করে আমরা খাল নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছি। সাধারণ নাগরিকরা জেনে শুনে নালা নর্দমায় ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। এর ফলে ড্রেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে তা জানা সত্ত্বেও তারা নাগরিক দায়িত্ব পালন করেন না।
তিনি আরো বলেন, আমরা নিজেরা সচেতন হলে, সচেতন হয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালন করলে নগরী জলাবদ্ধতা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে।
আ জ ম নাছির বলেন, আমি কি প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র হয়েছি তা আমি মনে রেখেছি, আমি কিছু ভুলে যাইনি। আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেই কাজ করে যাচ্ছি। আমি নগরবাসীকে কোন সেবা কখন দিব সবকিছু পরিকল্পনার মধ্যেই রেখেছি। গত দুই বছর আমি অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু নগরবাসীকে দেওয়া আমার প্রতিশ্রুতি থেকে আমি বিচ্যুত হইনি। আমি সততা, স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতার মধ্যে দিয়ে মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।
সুধী সমাবেশে চট্টগ্রামের শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, পেশাজীবীরা বক্তব্য রাখেন এবং মেয়রের উদ্দেশ্যে তাদের পরামর্শ ও নগরবাসীর বিভিন্ন চাওয়া তুলে ধরেন।