মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইরফান চৌধুরী নয়ন নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।
তবে, পুলিশ বলছে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা নয়, মারামারির ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মে) রাতে ৮টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নূর আলী মিয়ারহাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ইরফান চৌধুরী কাটিরহাট এলাকার জীবন আলী চৌধুরী বাড়ির আবুল মনসুরের ছেলে এবং হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা গেছে, গত ১৭ মে দুপুরে ধলই ইউনিয়নের জীবন আলী চৌধুরী বাড়ির মো. আবু জাফরের ছেলে মো. জাহেদের মোটরসাইকেলটি ইরফান চৌধুরী নয়ন (২৯), তার সহযোগী মো. শুক্কুর (৪৭) ও অজ্ঞাতনামা একজন মিলে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পর জাহেদ বাদী হয়ে ১৯ মে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের সূত্র ধরে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোল্লা মো. জাহাঙ্গীর কবির অভিযুক্ত ইরফান চৌধুরী নয়নকে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নূর আলী মিয়ার হাট থেকে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর।
এদিকে, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান চৌধুরী নয়ন রাত ১ টা ৫১ মিনিটে মুঠোফোনে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মোটরসাইকেলের বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি। এটি সামাজিকভাবে সমাধান হয়েছিল। আর এর মধ্যে পুলিশ আমাকে ফোন করে থানায় আসতে বলে। বিষয়টি যেহেতু সামাজিকভাবে সমাধান হয়েছে, তাই সমাজ কর্তারা আমাকে থানায় যেতে নিষেধ করে। কিন্তু পুলিশ টাকা খেয়ে আমাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ বুঝতে পেরে আবার তাদের গাড়ি করে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।
এএইচ