জিইসিতে অস্ত্রধারী সেই এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী ধরা

চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে আলোচনায় আসা এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী আহমেদ বাপ্পীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সাথে তার দেখানো লুকানো স্থান থেকে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) নগরীর মুরাদপুর ফ্লাইওভার থেকে নামার পথে আহমেদ বাপ্পী (২৪) নামে এ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার বাপ্পী ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত ওমরগণি এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ওয়াসিম উদ্দিনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের স্থায়ী বাসিন্দা বাপ্পী নগরীর সদরঘাট থানার মোগলটুলি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, গত ২১ ডিসেম্বর ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে বাপ্পী নামে ছাত্রলীগের এই কর্মী মেট্রেপলিটন হাসপাতালের সামনে পিস্তল হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি পরে অনলাইনে ভাইরাল হয়।

এঘটনায় ভটকে গিয়ে বাপ্পী পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার প্যারাডাইস হোটেলের কাছে ধ্রুব প্রপার্টিজের একটি খালি জায়গায় দেয়ালের পাশে কাঠ এবং হার্ডবোর্ডের নিচে অস্ত্রটি লুকিয়ে রেখে তিনি কক্সবাজার পালিয়ে যান। মোবাইল সিম এবং সেট পরিবর্তন করে তিনি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করতে থাকেন। পরিস্থিতি নিরব হয়েছে ভেবে তিনি গত দুইদিন আগে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ জানতে পারে, বাপ্পি কিছুক্ষণের মধ্যেই জিইসি থেকে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে পার হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিক মুরাদপুর ফ্লাইওভার এবং ফ্লাইওভার থেকে নামার পথে এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি চালাতে থাকে। একপর্যায়ে দুপুর দুইটার দিকে এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের সামনের রাস্তায় ফ্লাইওভার থেকে নামার পথে একটি সিএনজি থেকে আহমেদ বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর বাপ্পীর দেওয়া তথ্যে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম মেইড ইন ইউএসএ মডেলের পিস্তল উদ্ধার করে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি তার সহযোগী ও অস্ত্রের উৎসের সন্ধানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান।

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!