চট্টগ্রামে ট্রিপল নাইনে স্ত্রীর ফোনে স্বামী বাঁচলেন হামলা থেকে

৯৯৯ এ ফোন দিয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে রক্ষা করলেন স্ত্রী। তবে হামলায় দুইজনই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের শীলকূপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন নুরুল আমীন (৩৫), রিমা আক্তার (২৫), আহমদ উল্লাহ (৬২), মোরশেদুল ইসলাম(৪৫), মিজানুর রহমান (৩০) ও নার্গিস আক্তার(৩৫)। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শীলকূপ গ্রামে সহোদর আহমদ উল্লাহ ও নুর মোহাম্মদের মধ্যে ৩০ শতক জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা, হামলা ও অভিযোগ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে আহমদ উল্লাহ’র ছেলে মো. এনাম বাদী হয়ে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নুর মোহাম্মদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।

১৮ অক্টোবর ওই মামলা থেকে নুর মোহাম্মদের পরিবারের কয়েকজন জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরলে আবারও পরস্পরের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়। সেই রেষারেষির জেরে মামলার বাদী মো. এনাম দলবল নিয়ে মঙ্গলবার সকালে নুর মোহাম্মদের ঘরে ঢুকে মালামাল ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।

প্রতিপক্ষ কিরিচ, লোহার রড, লাঠি দিয়ে ওই সময় নুর মোহাম্মদের ঘরে বেড়াতে আসা মেয়ে রিমা আক্তারের স্বামী নুরুল আমীনকে ব্যাপক মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষ শুরু হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রিমা আক্তার ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন।

ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদ নুরীর সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করান।

হামলায় মারাত্মকভাবে আহত নুরুল আমীনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নুরুল আমীন পশ্চিম চাম্বল গ্রামের আহম্মদ আলীর পুত্র।

ঘটনাস্থলে যাওয়া এএসআই সুমন দে বলেন, রিমা আক্তার নামের এক গৃহবধূর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। দুইপক্ষের দীর্ঘদিন ধরে জায়গার বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। হামলার ব্যাপারে একে অপরকে দায়ী করছে। তদন্তে প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!