জালিয়াতি করে পণ্য খালাস, কাস্টমসের কর্তাসহ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতির তথ্য গোপন করে বিদেশ থেকে আনা পণ্য খালাস করার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাসহ দুই সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার পূর্ব মধুগ্রাম এলাকার মৃত সৈয়দ আহমেদ মজুমদারের পুত্র ইকবাল হোসেন। তার সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের নাম নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সি। চট্টগ্রামের হালিশহর থানার এইচ ব্লক ১ নম্বর রোডের বাসিন্দা মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। তার সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের নাম বনলতা শিপিং এজেন্সি লিমিটেড।

অপর আসামীরা হলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সেকশন-বি’র সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম মোল্ল্যা ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের (সাবটিম-১২ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রশাসন শাখা) রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) নাছিরউদ্দিন মাহমুদ খান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মো. আবু সাঈদ জানান, দুই কাস্টম কর্মকর্তা ও দুই সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান পরস্পর যোগসাজশে ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ দশমিক ৫০ টাকা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। দন্ডবিধি ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তাদের অভযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!