চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
উচ্চ আদালতের জামিন আদেশে দিদারুল আলম মাসুমকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহম্মেদ।
মুক্তির পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাসুম। এরপর লালখান বাজার মোড়ে পৌঁছালে সেখানে তার অনুসারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তাকে। এসময় মাসুমকে সাথে নিয়ে মিছিলও করে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসার সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে । ফেসবুকে লেখালেখির কারণে দিদারুল আলম মাসুমের নির্দেশে সুদীপ্তকে খুন করা হয়েছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন নগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা।
গত ১২ জুলাই মিজানুর রহমান নামে এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানান, সুদীপ্ত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ‘বড় ভাই’ দিদারুল আলম মাসুম। এরপর গত ২২ জুলাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের লালখান বাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর এএফ কবির আহমেদ মানিক মাসুমের নামে বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ থাকা দুটি অস্ত্রের (শটগান/৫৪৪৪/ডবলমুরিং ও পিস্তল/৩৩/খুলশী) লাইসেন্স বাতিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত বছরের ৪ আগস্ট মাসুমকে ঢাকার বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম। ১৫ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান মাসুম। পরে আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ১২ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে মাসুমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
দিদারুল আলম মাসুম নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আগে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. আফসারুল আমীনের অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করলেও গত কয়েক বছর ধরে তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিত।
এআরটি/এসএ