জামালখানে ছুরি মেরে কিশোর ছাত্রলীগ নেতা খুন, নেপথ্যে সিনিয়র-জুনিয়র বিবাদ

ইফতারের আগ থেকেই চলছিল শোডাউন

সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বিবাদের জেরে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের আজাদী গলির পেছনে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরের নাম আসকার বিন তারেক ইভান। সে জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে।

জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুসারী শৈবাল দাশের সঙ্গে নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাব্বির সাদিকের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন ও সাব্বির দুজনেই সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।

জানা যায়, শুক্রবার ইফতারের আগ থেকেই দুই গ্রুপের কর্মীরা দফায় দফায় রহমতগঞ্জ ও আজাদী গলি এলাকায় শোডাউন দিতে থাকে। দুই গ্রুপ সিনিয়র-জুনিয়র ইস্যুতে দুই-তিনদিন আগে বিবাদে জড়ায়। এ বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে রাতে আসকারের ওপর হামলা করে শৈবাল দাশ ও তার অনুসারীরা। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

শৈবাল দাশের বড় ভাই নগর ছাত্রলীগের সদস্য সৈকত দাশ বলেন, ‘ছোট ছোট ছেলেরা নিজেদের মধ্যকার ঝামেলাকে এত বড় করেছে। দুই দিন আগে থেকেই তাদের ঝামেলা চলছিল, আজকেও সমঝোতার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু কোনো পক্ষই তা মানেনি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে দুই গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়ায় এবং সাব্বির গ্রুপের একজন নিহত হয়।

তবে কর্মী নিহতের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান সাব্বির সাদিক। তিনি বলেন, ‘আমি তো মাত্রই নামাজ পড়ে বের হলাম। আমি কিছুই জানি না, দাঁড়ান আমি দুই মিনিট পর জেনে আপনাকে জানাচ্ছি।’

কিন্তু এরপর একাধিকবার সাব্বিরের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি এবং এক পর্যায়ে মোবাইলটি বন্ধ করে দেন।

তবে সাব্বির সাদিক নিজে কিছু ‘না জানার কথা’ বললেও সে সময় তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে নিহত কর্মীর মরদেহের দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবিরের নম্বরে একাধিকবার কল করলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

কিশোর নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত কর্মকর্তা বলেন, জামালখান ওয়ার্ডে রাজনৈতিক সংঘর্ষে আসকার বিন তারেক ইভান (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রাত ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং লাশটি বর্তমানে জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!