ওয়াসার গর্তে বিপদে পড়ে বিপদচিহ্ন এঁকে দিলেন অটোরিকশা চালক

ওয়াসার খোঁড়া গর্তের সামনে কোন সতর্কবাণী ছিল না, ছিল না কোন নিরাপত্তাবেষ্টনীও। চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান হাইওয়ে সুইটসের সামনে ওয়াসার খোঁড়া গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় একটি সিএনজি অটোরিকশা। দুর্ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশার একটি চাকাও নষ্ট হয়ে যায়, আটকা পড়ে যায় গর্তে।

চালক জামির উদ্দিন জীবিকার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় বেরিয়ে আয়ের পরিবর্তে পড়ে গেলেন দুর্ভোগে। তার সিএনজি অটোরিকশাটি গর্তে পড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় জামালখানের হাইওয়ে সুইটসের সামনে ওয়াসার খোঁড়া গর্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশার চাকার সাথে থেমে গেছে তার দৈনন্দিন আয়ের চাকাও। দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিজেই টেনে টেনে গাড়ি সরিয়েছেন। আবার ফিরে এসে তিনিই ওই স্থানে লাল কাপড় বেঁধে ‘বিপদ সংকেত’ গেঁড়ে দিয়েছেন।

চালক মো. জামির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিকেল আনুমানিক ৫টায় চকবাজার থেকে কোতোয়ালী যাচ্ছিলাম। জামালখান সড়কে হাইওয়ে সুইটসের সামনে গর্তে পড়ে আমার সিএনজির ডানপাশের চাকাটি খুলে যায় এবং আমি মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছি। আজ ইনকামের পরিবর্তে আমার ভাগ্যে দুর্ভোগ আর বিপদই এলো। ওয়াসার এই উন্নয়নের কারণে আমাদের আয় অনেকটা কমেই গেছে। সড়কে এখন বেশি সাবধান হতে হয়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও ছিল। কিন্তু সড়কের গর্তে আশপাশে সতর্কের কোন চিহ্ন না থাকায় এটিকে মরণফাঁদই বলা চলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর চেয়ে বড় কোন দুর্ঘটনার আশংকায় আমি নিজেই অটোরিকশায় থাকা একটি ছেঁড়া কাপড় নিয়ে গর্তের সামনে টাঙ্গিয়ে দিয়েছি।’

জামির বলেন, ‘মানুষ নিজ নিজ ক্ষেত্রে একটু সচেতন হলেই আমরা অনেক বিপদ থেকে বাঁচতে পারি। ওয়াসার লোকজন যদি সচেতন হতো তাহলে আমাকে এখানে বিপদে পড়তো হতো না।’

জামালখানের ওয়াসার খোঁড়া বিপজ্জনক ওই গর্তের পাশের অবস্থিত ফলের দোকানদার মোহাম্মদ রাসেল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুপুর থেকে তিনটি সিএনজি অটোরিকশা ওই গর্তে পড়েছিল। একটিতে মহিলা খুবই আঘাত পান। এছাড়া তিনটি সিএনজি অটোরিকশার সব যাত্রীই আঘাত পেয়েছেন। পরে এক সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার এখানে একটি বিপদচিহ্ন পতাকা গাঁথেন। এরপর থেকে আর কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। ওই ড্রাইভার সচেতন ছিল।’

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!