জামালখানের এপারে অন্ধকার, ওপারে আলো

চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায় ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে লোডশেডিং। টানা লোডশেডিংয়ের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে এলাকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে চরম অস্বস্তিতে জনজীবন।এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, জামালখান এলাকায় দু’টি লাইনের মধ্যে চেরাগিপাহাড়-মোমিন রোড ও আশপাশের এলাকায় গত দুদিন (শনি-রোববার) ধরে বলতে গেলে থাকছেই না বিদ্যুৎ। টানা ৩-৪ ঘন্টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। অনেক সময় বিদ্যুৎ আসলেও এর স্থায়ীত্ব ২ থেকে থেকে ১০ মিনিট। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে ওই এলাকাগুলো। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে তীব্র পানি সংকট চলছে। ফলে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে।

বিদ্যুতের এমন ভোগান্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে জামালখান ল্যাব-১ থেকে পিডিবি কলোনি পর্যন্ত কোনও লোডশেডিং নেই। চলছে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ। একই এলাকায় দু’টি লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের ভিন্নতার কথা তুলে ধরে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন হওয়ার কারণেই ওই অংশে সর্বক্ষণিক থাকছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

কথা হয় জামালখান এলাকার বাসিন্দা নিতাই দাশের সঙ্গে। ষাটোর্ধ এই বৃদ্ধ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন,‘দুই দিন ধরে থাকছে না কারেন্ট। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া কারেন্ট চলে যাওয়ায় অনেক বিপদে পড়েছি। ঘরে পানিও নেই।’

চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগে স্টেডিয়াম জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার মোহন্ত চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘একটি পাওয়ার ট্রান্সফরমার বন্ধ করে সংস্কার কাজ চলছে এ জন্যই তীব্র লোডশেডিং চলছে। আশা করছি সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’

এএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!