কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এলে ছুটে যায় নাছিবুর রহমান। সেখানে গিয়ে সাজেন মানবাধিকারের ধ্বজাধারী। আবার আয়োজন করেন মানবাধিকার বিষয়ক সভা-সেমিনারও। যেখানে তার মুখে ফুটে মানবাধিকারের ফুলঝুরি। প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলেও বাস্তবে এই নাছিবুর রহমানের বিচরণ অন্ধকার জগতে। মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ের আড়ালে তার মুল কাজ ইয়াবা ব্যবসা।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) র্যাবের হাতে ৩ হাজার ৬৩০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের পর উঠে এই ‘মানবাধিকার’ কর্মীর অন্ধকার জগতের গল্প।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করেন নাছিবুর রহমান। কখনো ল্যাপটপের ভেতরে ইয়াবা ঢুকিয়ে পরিবহন করেন তিনি ইয়াবা। কখনো পাওয়ার ব্যাংককে বেছে নেন এই কাজে। এমনকি ল্যাপটপের এডপ্টারের ভেতরে ঢুকিয়েও ইয়াবা পাচার করেন এই ‘মানবাধিকার’ কর্মী।
রোববার বাকলিয়া থানার পাঁকা রাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হাতে থাকা ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক ও এডাপ্টারের ভিতর লুকানো অবস্থায় ৩ হাজার ৬৩০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক দাম ১০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
র্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি যাত্রীবাহী বাস যোগে এসব ইয়াবা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে এসেছিলো নাছিবুর। এসব ইয়াবা চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাচার করতো সে। নাছিবুর ফরিদপুর জেলা সদরের গোয়াল চামুর গ্রামের মৃত শফিউদ্দিনের সন্তান। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাকে বাকলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমএফও