জাতীয় লিগে দুদিনেই সিলেটকে হারালো চট্টগ্রাম

রংপুরের বিপক্ষে রাজশাহীর শ্বাসরুদ্ধকর জয়

জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ড শুরু হয় শনিবার (২৬ অক্টোবর)। দেশের চারটি ভেন্যুর মধ্যে দুটিতে বৃষ্টির তাণ্ডবে খেলা মাঠেই গড়ায়নি প্রথম দুদিন। এর মধ্যে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগের মধ্যকার ম্যাচও প্রথম দুদিন বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি খেলা।

তৃতীয় দিন (সোমবার) অবশেষে মাঠের লড়াইয়ে নামে দুই দল। দুদিনে পরিণত হওয়া এই ম্যাচে ইফরান হোসেনের বোলিং নৈপুণ্যে সিলেটকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারায় চিটাগাং।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইফরানের বোলিং তোপে মাত্র ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। দলের উল্লেখযোগ্য স্কোর করেন অধিনায়ক অলোক কাপালি ৪২, ইমতিয়াজ হোসেন ২৪, জাকির হোসেন ২১ ও আনামুল হক জুনিয়র ১৪। আর কেউ দুই অংকের ঘরেই যেতে পারেননি। চিটাগাংয়ের হয়ে ইফরান একাই ৬টি উইকেট নেন। এছাড়া হাসান মাহমুদ ৩টি উইকেট শিকার করেন।

জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে পিনাক ঘোষের সেঞ্চুরিতে ৬৬ রানের লিড নিয়ে ২২৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে চিটাগাং। পিনাক ছাড়াও সাদিকুর রহমান ৩৭ ও মাহিদুল ইসলাম ২৯ রান করেন। সিলেটের হয়ে আবু জায়েদ ৪টি উইকেট নেন।

৬৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মেহেদি হাসান রানার বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। অধিনায়ক অলোক কাপালির ৩১ ও রেজাউর রহমানের অপরাজিত ১৬ রানে চিটাগাংকে ৪৪ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট। চিটাগাংয়ের হয়ে মেহেদি ৫টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ইফরান ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট নেন।

জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে   সিলেটের বিপক্ষে দুদিনে পরিণত হওয়া ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর চট্টগ্রাম দলের খেলোয়াড়দের সেলফি উল্লাস।
জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে সিলেটের বিপক্ষে দুদিনে পরিণত হওয়া ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর চট্টগ্রাম দলের খেলোয়াড়দের সেলফি উল্লাস।

স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইরফান শুক্কুরের ১৬ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে সহজে জয় পায় চিটাগাং। এছাড়া পিনাক ঘোষ ১০ ও সাইদুর রহমান ৮ রান করেন।

বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইফরান হোসেন।

রাজশাহী-রংপুর

অন্যদিকে কক্সবাজারে রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে রংপুরকে ৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে রাজশাহী বিভাগ। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী। তবে ব্যাট করতে নেমেই তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের পাঁচ উইকেটে মাত্র ২০১ রানেই ইনিংস গুটিয়ে যায় রাজশাহীর। অধিনায়ক ফরহাদ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬০ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মেহদি মারুফ, নাইম ইসলাম এবং নাসির হোসেনের অর্ধশতকে রংপুর তোলে ২৭৯ রান। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। তবে রংপুরের বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ১৯০ রানেই অল আউট হয় রাজশাহী। রংপুরের হয়ে তিনটি উইকেট নেন তানবির হায়দার আর দুটি করে উইকেট তুলে নেন সৌরাওয়ার্দি শুভ, মাহমুদুল হাসান এবং সঞ্জিত সাহা। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন সানজামুল ইসলাম।

১১৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২১ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় রংপুর। তবে এরপরেই ম্যাচের হাল ধরেন নাইম ইসলাম এবং আরিফুল হক। সাকলাইন সজিব এবং সানজামুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রংপুরের ব্যাটসম্যান। রাজশাহীর এই দুই বোলারই তুলে নেন ৫টি করে উইকেট। আর তাতেই রংপুরের ইনিংস শেষ হয় ১১১ রানে। রাজশাহী জয় পায় মাত্র ৬ রানে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!