জাতীয় পার্টি সরে গেল চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচন থেকে

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপ-নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি। ফলে প্রাথমিক বাছাইয়ে ছিটকে পড়ার পর আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও নির্বাচনে আর থাকছেন না জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) উপ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত বৈধ ৭ প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। অন্যদের কেউই করেননি। নির্দিষ্ট সময়ের পর কেউ প্রত্যাহার না করলে কালই অন্য প্রার্থীর মাঝে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে।’

অন্যদিকে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস এন্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পার্টির নীতিনির্ধারকদের পরামর্শক্রমে পার্টি চেয়ারম্যান দলীয় মনোনীত প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। জাতীয় সম্মেলন সফল করার জন্য বাবলুকে ইতোপূর্বে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পার্টি মনে করে, এই মুহূর্তে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের চেয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকে প্রত্যেক নেতাকে বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। সে প্রেক্ষিত বিবেচনায় পার্টি এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

উপ নির্বাচনের লড়াইয়ে আছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান ও ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দীন খান বাদল। গত ৭ নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন আগামী ১৩ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছে। এই আসনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হবে।

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!