জহুর হকার্স মার্কেটে দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ, পুলিশের সতর্কবাণী

পোর্ট সিটি বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী তাসনুবা তাসকিন সোমবার (২৯ জুলাই) হকার মার্কেটে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে ৯৯৯ ফোন করেন। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কোন প্রমাণ না পেয়ে বাজার কমিটিকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে চলে যান।

ইভটিজিংয়ের শিকার তাসনুবা জানান, সোমবার (২৯ জুলাই) বিকালে জহুর হকার মার্কেটে লেডিস ওয়ার ক্লথ স্টোর নামক দোকানে কেনাকাটা করতে যান। দোকানে একটি টিশার্টের মূল্য জানতে চাইলে দোকান কর্মচারী মহিউদ্দিন দুইশত টাকা দাম বলেন। একশ টাকায় দিবে কিনা বললে দোকানদার খুব বাজে আচরণ ও অশ্লীল বাক্য ছুড়ে দিয়ে বলেন একশ টাকায় টিশার্ট নয় মেয়েদের অন্তর্বাসও পাওয়া যাবেনা। এতে তিনি দোকানটি থেকে বেরিয়ে অন্য দোকান থেকে টিশার্ট কিনে চলে যাচ্ছিলেন। তা দেখে ঐ দোকানদার বলেন, একরাত তার সাথে কাটালে তাকে টিশার্টটি ফ্রিতে দেবেন। তাসনুবা এমন অশ্লীল আচরণের প্রতিবাদ করলে অন্য দোকানদারেরা মহিউদ্দিনের সাথে তাল মিলালে তিনি কোন প্রতিকার পাননি।

পরে তিনি ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি জানালে কোতোয়ালী থানার এ এস আই আবু হায়াত আরেফিন দুজন পুলিশসহ ঘটনাস্থলে আসেন। হকার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন এসে ইভটিজারের পক্ষ নেয়। পুলিশ ব্যবসায়ী সমিতিকে এ বিষয়ে সতর্ক করেন। পরে পুলিশ মামলার বিষয়ে তাসনুবাকে জানাবেন বলে অবহিত করেন।

তাসনুবা তাসকিন জানান, হকার মার্কেটে কেনাকাটা করতে গেলে ঐ দোকানদার শুরু থেকে আজেবাজে কথা বললেও চেপে যাই৷ পরে বেশী খারাপ আচরণ করলে ৯৯৯ ফোন করি। তবে অভিযুক্তকে আটক করেনি থানা পুলিশ। আমি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধমে পোস্ট করার পর ৩১ জুলাই আমাকে ফোন করে জানায় অভিযুক্তকে দোকান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইভটিজারের সঠিক বিচার না হওয়ায় আমি এতে মর্মাহত।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার এ এস আই আবু হায়াত আরেফিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইভটিজিংয়ের কোন প্রমাণ পাইনি। ছেলেটাকে দোকান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন মেয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার না হয়ে ৯৯৯ ফোন করে কিনা, দোকান থেকে ইভটিজিারকে তাড়িয়ে দেওয়া সমাধান কিনা জানতে চাইলে কোন উত্তর দিতে পারেননি।

দোকান মালিক শহিদুল্লাহর বলেন, ছেলেটির বিচার করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

মাহাবুব/আরিফ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!