জলাবদ্ধতা নিরসনে মহেশখাল থেকে ৮১ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার প্রধান বাধা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ঈদের বন্ধের পর মহেশখালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে আবার অভিযান শুরু হয়েছে। তৃতীয় দফায় শুরু হওয়া উচ্ছেদে নগরীর মহেশখালের ওপর গড়ে ওঠা ৮১টি স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে সিডিএ। রোববার (২৫ আগস্ট) এ উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ বিগ্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা।

এ অভিযানে যেসব জায়গায় এস্কেভেটর নিয়ে উচ্ছেদ করা যায়নি সেখানে শ্রমিক দিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভাঙা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সিডিএর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী।

প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর জানান, মহেশখালের উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিনে ৮১টি স্থাপনার মধ্যে ১৪টি পাকা, ১৮টি সেমিপাকা, টিনশেড ৩২টি, কাঁচা ঘর ১১টি ও ৬টি বাউন্ডারি ওয়াল ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে।

পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়। ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!