জলাবদ্ধতায় পড়ে দুর্দশায় মেয়র নাছির নিজেই!

ভরা দুপুরে চট্টগ্রামের পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকায় যান নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দিন। সেখানে নির্মিতব্য সরকারি কসাইখানা পরিদর্শনে গিয়ে নিজেই পড়ে যান জলাবদ্ধতার কবলে। শেষে উপায় না দেখে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছিউদ্দিনকে পাশে বসিয়ে রিকশায় চেপে পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকায় কসাইখানার প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন মেয়র। হাঁটু পানিতে মেয়রের রিকশা ভ্রমণের সময় শত শত মানুষ উৎসুক দৃষ্টিতে তা দেখেন। অনেকে জলাবদ্ধতায় বন্দি হয়ে মেয়রের রিকশা চড়া নিয়ে টিপ্পনি কাটেন অনেকে। অনেকে আবার এই সমস্যার জন্য সিডিএকে দায়ী করেন।

চট্টগ্রাম নগরীর টানা জলাবদ্ধতার অভিশাপে নগরবাসীর জীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নগরজীবন। এর দায় কোন্ সংস্থার – সেটা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কেউ কেউ এ জলাবদ্ধতার জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়ী করছে, আবার কেউ সিডিএকে। তবে গত বছর থেকে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে সিডিএ। বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ বিগ্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা।

রিকশায় চেপে পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
রিকশায় চেপে পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

কসাইখানা পরিদর্শনে সিটি মেয়রের সঙ্গে যাওয়া ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন খালেদ বলেন, ‘চান্দগাঁওয়ের ৯০ ভাগ জায়গা পানিবন্দি। মানুষের জীবন অচল হয়ে পড়েছে পানিতে। এ সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব সিডিএর। সরকার তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এখন চান্দগাঁওতে পানি কেন তার জবাব সিডিএই ভালো দিতে পারবে।’

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘কসাইখানার সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করতে আজ দুপুরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে নিয়ে পুরাতন চান্দগাঁও থানায় যাই। তবে নগরীর অন্যান্য স্থানের মত সেখানে গিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ি। নিরুপায় হয়ে উনাকে নিয়ে রিকশায় করে জায়গাটি পরিদর্শন করেছি।’

তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার কী ভূমিকা তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মেয়র।

এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘চান্দগাঁও ও মোহরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে নোয়াখালে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে। তবে আমরা বড় খালগুলো থেকে ময়লা অপসারণ করলেও ছোট ছোট পাড়ার নালাগুলো পরিস্কার করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এখন ছোট নালা থেকে পানি বড় নালা বা খালে আসতে পারছি না বলেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!