জলবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ক্যাব’র

জলবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ক্যাব’র 1অতি সামান্য বৃষ্টিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী, বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়, আর চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নে নিয়োজিত সরকারী সংস্থা বিশেষ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসনের মধ্যে আন্তঃ সমন্বয় না থাকায় তাঁরা জলমগ্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে নিজেরা জলাবদ্ধতা তাদের আওতা বর্হিভুত দাবি করে নিজেরা দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

অপরদিকে ও জলমগ্ন মানুষগুলিকে উদ্ধার করে দ্রুত চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতা রোধ ও পানিতে তলিয়ে যাওয়া রোধেকরনীয় নিয়ে সীমাহীন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়ার কারনে নগরী ডুবে সীমাহীন দূর্ভোগ এবং পাহাড় ধ্বসে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রামকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।

একই সাথে জরুরী ভাবে বিশেষ ব্যবস্থায় চাক্তাই, মির্জাখালসহ নগরীর নালা, মহেশখালে স্লুইসগেট নির্মাণ, নর্দমা ও খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা ও সংস্কার করে দ্রুত পানি নিস্কাষনের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। সামান্য বৃষ্টিতে বারবার চট্টগ্রাম নগরী তলিয়ে যাবার কারনে সৃষ্ঠ জলাবদ্ধতায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চাক্তাই খালের উপরে অংশে প্রশস্ততা ৩৫ফিট হলেও নীচের অংশে গিয়ে ১৫ফিটে দাঁড়িয়েছে, আবার চাক্তাই খাল খননের নামে নগরীতে হরি লুট হয়েছে, নগরবাসী এর কোন সুফল পায়নি। নগরীর পানি নিস্কাষনের ড্রেন, নালা, নর্দমা ও খাল গুলি ভরাট হয়ে গেছে, অনেকগুলি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দখলে গিয়ে দালান বিল্ডিং নির্মিত হয়ে নগরীর পানি নিষ্কাষনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, এ চক্রটি চাক্তাইখাল খননে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে, ফলে নগরীতে একটু বৃষ্টি হলেই নীচু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। সিটিকর্পোরেশন ও সিডিএ নগরীর খাল ও নালাগুলি সংস্কারের নামে বিপুল অংকের অর্থ খরচ করলেও অদ্যবদি দখলে যাওয়া খাল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-নালাগুলি দখলমুক্ত ও যথাযথ সংস্কার করেনি। সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, মুরাদপুর, খাতুনগঞ্জ, ২নং গেট, চকবাজার, সাবানঘাটা, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, বন্দর, নিউমুরিং, মাইজপাড়া, পতেঙ্গাসহ অনেক নীচু এলাকা এখনও জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত।

সিটিকর্পোরেশনের একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী দখলদারদের যোগসাজসে অবৈধ দখলমুক্ত করার সরকারী উদ্যোগকে ব্যাহত হচ্ছে। অথচ সরকার ১১ জুনের মতো ভয়াবহ বিপর্যয় ও জলাবদদ্ধতা থেকে নগরবাসী রক্ষা করতে বিভাগীয় কমিশনারে নেতৃত্বে শক্তিশালী কমিটি গঠন করলেও এ কমিটির কার্যক্রম কাগজে কলমে ছাড়া প্রকৃত অর্থে চট্টগ্রামবাসীর কোন উপকারে আসছে না।

উক্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চাক্তাই খালের দু’ধারে ওর্য়াকওয়ে নির্মান ও অবৈদখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত রহস্যজনক কারণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না এবং এপর্যন্ত একটি অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়নি, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সিডিএ, সিটিকর্পোরেশন বা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একটি মামলাও করা হয়নি। যা সত্যিই হতাশাজনক ও উদ্বেগের কারণ বলে বক্তারা মন্তব্য করেন। উক্ত কমিটির কার্যকারিতা নিয়ে জনমতে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও মহেশখালে স্লুইসগেট নির্মাণ করে দ্রুত পানি নিস্কাষনে ব্যবস্থা গ্রহন এবং উপকূলীয় বাঁধগুলি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন- ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সহ-সভাপতি হাজী ইকবাল আলী আকবর ও সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক এএম তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!