জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলী

চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলার ১১৩ তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার তারিকুল ইসলাম জীবন বলী। জীবন তিন পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এর আগে ১০৯তম আসরেও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) প্রতিযোগিতার ফাইনালে কুমিল্লার হোমনার শাহাজালাল বলীকে হারিয়ে জয়ী হন জীবন। প্রায় ৩০ মিনিটের লড়াই শেষে খেলার রেফারি আবদুল মালেক জীবনকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন।

শাহজালালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে দারুণ খুশি জীবন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। স্বপ্ন ছিল চ্যাম্পিয়ন হব। অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।’

বিকেল তিনটায় লালদীঘি মাঠের পাশে অস্থায়ী মঞ্চে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৩তম আসরের আয়োজন শুরু হয়। এবারও লালদীঘির মাঠের পাশে বিশেষভাবে বালি দিয়ে বানানো অস্থায়ী মাঠে বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম সেমিফাইনালে মোকাবেলা করেন তরিকুল ইসলাম জীবন ও মমিন। এতে মমিন জয় পেয়ে ফাইনালে ওঠেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সৃজন চাকমা ও শাহাজালাল বলী মোকাবেলা করেন। এতে জয় পেয়ে শাহাজালাল বলী ফাইনালে ওঠেন।

বলীখেলা পরিচালনা করেন সাবেক কমিশনার আবদুল মালেকসহ চারজন। এবারের চ্যাম্পিয়ন বলীকে দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা ও ট্রফি। রানারআপ বলীকে দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।

চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে বলীখেলা প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। ১৩১৬ বাংলা ১২ বৈশাখ (১৯০৯) সালে প্রথম এই বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১০তম আসর পর্যন্ত নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। বলি খেলা ঘিরে কয়েকদিন ধরে উৎসবমুখর মেলার প্রচলন চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়।

ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় এই বলি খেলা ও মেলার পরিধি জনপ্রিয়তা লাভ করে। চট্টগ্রাম পৌরসভা পরে সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মেলা কমিটি প্রতি বছর ১২ বৈশাখ বলি খেলার আয়োজন করে আসছিল।

এর মধ্যে করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বলি খেলা ও মেলা স্থগিত করা হয়।

এবারের বলী খেলায় ৮০ জন বলী অংশ নেন।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!