চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ-নির্বাচনে এমপি হিসেবে জয়ী হওয়ার পর শপথ নিয়েই সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। রীতি অনুযায়ী সংসদ অধিবেশন চলাকালে নতুন সদস্য যোগ দিলে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন সংসদের স্পিকার।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের আগে বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে মোছলেম উদ্দিন আহমদ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও থানা এলাকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি বহুল আলোচিত কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবি তোলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ কালুরঘাট সেতু। বোয়ালখালীবাসী, রাঙ্গুনিয়াবাসী, পটিয়াবাসী, ও দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা কালুরঘাটের জরাজীর্ণ একটি সেতু। সেই সেতু দিয়ে অতিক্রম করতে গিয়ে অনেকের জীবন শেষও হয়ে গেছে। এই সেতুটির প্রত্যাশায় মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সেতুটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা করেছেন ২০১০ সালে। তখন তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু উদ্বোধনের সময় মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ও আমিসহ অনেকে দাবি জানিয়েছিলাম কালুরঘাটে নতুন সেতুর। তখন জাতির জনকের কন্যা ঘোষণা দিয়েছিলেন কালুরঘাটে একটি নতুন সেতু করে দিবেন। এই সেতুর প্রত্যাশা পূরণে মানুষ আজকে আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি আশা করি এক বছরের মধ্যে যে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যেন দৃশ্যমান হয়। কালুরঘাট রেল সেতুর পাশাপাশি নতুন আরেকটি সড়ক সেতুর কাজ যেন দৃশ্যমান হয়।’
এমপি মোছলেম সংসদে আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আমার নির্বাচনী এলাকার নগরীর যে ৫ ওয়ার্ড রয়েছে তাতে এখনও অনেক এলাকায় নগর জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য পৌঁছেনি। ওই সব এলাকায় সেবা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আরও ব্যাপক ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। এছাড়া বোয়ালখালীর একটি শিল্প অঞ্চল অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা আমাদের দীর্ঘদিনের আশা। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে তা বাস্তবায়ন হবে। এর ফলে এলকায় কর্মসংস্থান হবে।’
সংসদে দেওয়া বক্তব্যে মোছলেম উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণেই জনগণ উপনির্বাচনে নৌকার পক্ষে রায় দিয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রামে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে তাতে জনগণের সমর্থন রয়েছে। জনগণ আমাকে ভোট দেওয়ায় আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। একই সাথে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাই। আমার দীর্ঘ ৫৫ বছরের রাজনীতির জীবনে একেবারে ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে তৃণমূল থেকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে আসার যেই সুযোগ করে দিয়েছেন তার জন্য আমার নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। একই সাথে আমার নির্বাচনী এলাকা বোয়ালখালী উপজেলা, নগরীর মোহরা, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, পশ্চিম ষোলশহর ও পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই তারা আমাকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন বলে। মানুষ যে প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে সংসদে পাঠিয়েছে তা যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি।’
এডি/এসএস