ছেলে খুনের ঘটনায় কাউন্সিলরপ্রার্থী মোবারকের বিচার চেয়ে কাঁদলেন অসহায় মা

মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ

চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার আমিন জুট মিল এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের নামে পুলিশের গুলিতে নিহত নিরপরাধ শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন হত্যার মামলার আসামি পশ্চিম ষোলশহর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোবারক আলীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এতে উপস্থিত ছিলেন নিহত শিক্ষার্থী জয়নালের মা।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়।

নিহত জয়নালের মা ও এলাকাবাসী ছবিসংবলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে এই মানববন্ধনে অংশ নেন। নিহত শিক্ষার্থীর মায়ের ফেস্টুনে লেখা ছিল— ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পশ্চিম ষোলশহর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খুনী মোবারকের হাত হতে জনগণকে বাঁচান, আওয়ামী লীগ বাঁচান। আমার ছেলে কবরে, খুনি মোবারক আলী নির্বাচন করে। প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ভূমিদস্যু মোবারক আলীকে আইনের আওতায় আনা হোক।’

ছেলে খুনের ঘটনায় কাউন্সিলরপ্রার্থী মোবারকের বিচার চেয়ে কাঁদলেন অসহায় মা 1

প্রসঙ্গে, ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতে বায়েজিদের আমিন জুট মিল এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন নিহত হন বলে পুলিশ দাবি করে। কিন্তু এর অল্পদিন পরেই ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে— যখন আসল আসামি জয়নাল হঠাৎ আইনজীবীর মাধ্যমে ওই মামলায় হাজিরা দেন আদালতে। প্রশ্ন ওঠে তখনই, তাহলে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেলেন কোন্ জয়নাল?

এরপরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহায়তায়ই শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীনকে হত্যার অভিযোগে তার মা জোহরা বেগম কাউন্সিলর প্রার্থী মোবারক আলীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তার মধ্যে আদালত ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন।

এরা হলেন এসআই গোলাম মোহাম্মদ নাছিম হোসেন, পুলিশের কথিত সোর্স ফোরকান, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোবারক আলী, তার পিএস শামসু, ইলিয়াস ও মিঠু কুমার দে।

মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে বিচারাধীন আছে।

এএন/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!