ছেলের চোখে আটকে গেলো রোকসানার খুনি

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম। তাকে মামা বলে ডাকতো চন্দনাইশের সোহেল। সেই সূত্রে তারা মামা-ভাগিনা। সেই ভাগিনা সোহেল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গেল মামা আবুল কাশেমের বাসায়। কোতোয়ালী থানার কোরবানীগঞ্জের বাইন্নাপট্টি এলাকার আল আমিনের মালিকানাধীন ভবনে থাকেন মামা আবুল কাশেম। সোহেলের জানা ছিল দুপুরে আবুল কাশেমসহ কোন পুরুষ বাসায় থাকে না। বাসায় গিয়ে সোহেল গৃহিণী রোকসানা বেগম মনির কাছে দাবি করে ৩০ হাজার টাকা। গৃহিণী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহেল ভয় দেখান হত্যার। রোকসানা বেগম মনি মেরে ফেললেও কোন টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।

এরপর একপর্যায়ে সোহেল রোকসানাকে ছুরিকাঘাত করে। ওই সময় ঘরে আসে গৃহকর্মী। গৃহকর্মীকে সোহেল আটকে রাখে বাথরুমে। গৃহিনী রোকসানার মৃত্যু নিশ্চিত হলে সোহেল ঘর থেকে ৩২ লাখ টাকার ডিও লেটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে নেয়। ঘর ত্যাগের আগে খুনের আলামত নষ্ট করার জন্য আগুন ধরিয়ে দেয় ঘরে।

পালানোর সময় মুখোমুখি হয় নিহত রোকসানার ছেলে আবদুল আজিজের। আবদুল আজিজ সোহেলকে চিনে ফেললে তাকেও হত্যা করার জন্য ছুরিকাঘাত করে সোহেল। আজিজ চিৎকার দিয়ে দৌঁড়ে নিচে চলে যায়। তার চিৎকারে প্রতিবেশী আবদুস সোবহান এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে সোহেল।

খুন করে সোহেল প্রথমে আত্মগোপন করে খাতুনগঞ্জে। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বের হয়ে চলে যায় মইজ্যারটেক। ওই এলাকায় ভাড়া করে নতুন বাসা। সেখান থেকেই কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

খুন এবং খুনি গ্রেফতারের বিষয়টি জানাতে বুধবার (১ মে) দুপুর ১২টায় কোতোয়ালী থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ জোন) শাহ মো. আবদুর রউফ, অতিরিক্ত কমিশনার নোবেল চাকমা, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।

বিভিন্ন খুনের ঘটনা উল্লেখ করে আমেনা বেগম নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব আবাসিক এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার আহবান জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!