ছেঁড়া দ্বীপ বেড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা হটাতে ধর্মঘটে গেল সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা

৪ মাসের আয় দিয়ে ১২ মাস চলে সেন্টমার্টিনের মানুষ

বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলছে ধর্মঘট।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত যৌথভাবে ধর্মঘট পালন করে সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতি, ভ্যান চালক ও ব্যবসায়ীরা। এ সময় দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি দ্বীপে চলাচলকারী রিকসা ভ্যানও চলেনি। টেকনাফ সেন্টমাটিন নৌ রুটের সার্ভিস বোটগুলোও বন্ধ রাখা হয়।

আগামী তিনদিন এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

গত বছরের ১২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ অংশে পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সেন্ট মার্টিনে ছয় ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় কোস্টগার্ডকে।

পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ অংশে এখনো কিছু সামুদ্রিক প্রবাল জীবিত আছে। প্রবালগুলো সংরক্ষণের জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে এক মানববন্ধন সেন্টমার্টিন বাজার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার দুপুরে এক মানববন্ধন সেন্টমার্টিন বাজার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে এক মানববন্ধন সেন্টমার্টিন বাজার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ, ইউপি মেম্বার হাবিব খান, বোট মালিক সমিটির সভাপতি সৈয়দ আলমসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

এতে বক্তারা বলেন, ৪ মাসের আয় দিয়ে ১২ মাসের জীবিকা নির্বাহ করতে হয় দ্বীপের বাসিন্দাদের। সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তর ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় গত ৩ মাসে ৭ বার সেন্টমার্টিন ভ্রমণ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এতে পর্যটনকেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলো ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

বক্তারা অভিযোগ করেন, অপরদিকে সেন্টমার্টিনে বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যাহত থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর সেগুলো বন্ধ করতে পারছে না।

গত বছরের ১২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় বলা হয়, সেন্ট মার্টিনের সৈকতে কোনো ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন যেমন মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চালানো যাবে না। রাতে সেখানে আলো বা আগুন জ্বালানো যাবে না। রাতের বেলা কোলাহল সৃষ্টি বা উচ্চ স্বরে গানবাজনার আয়োজন করা যাবে না। টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াতকারী জাহাজে অনুমোদিত ধারণ সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অননুমোদিত এবং অনুমোদনের অতিরিক্ত নির্মাণসামগ্রীর সেন্টমার্টিনে যাতায়াত বন্ধ করা হবে। পরিবেশদূষণকারী দ্রব্য যেমন পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করা হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!