‘ছাড় পায়নি ট্রাফিক পুলিশের মোটরসাইকেলও’

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তর চট্টগ্রামের ব্যস্ততম কাপ্তাই সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে অভিযান চালিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। কাপ্তাই সড়কের রাউজান অংশের নোয়াপাড়া, পাহাড়তলীসহ যানজটপ্রবণ মোড় ও বাজারগুলোতে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।

আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার নোয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়। এ সময় বিশৃঙ্খলভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেট কারসহ সকল যানবাহন চালকদের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করা হয়। রাস্তার ওপর যাত্রী ওঠা-নামাসহ ট্রাফিক আইন পরিপন্থী অন্যান্য কাজও বন্ধ করা হয়। সাধারণ চালক ও মালিকদের উদ্দেশে সার্কেল এএসপি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যও দেন।

অভিযানের এক পর্যায়ে সার্কেল এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম রাস্তার অদূরে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকটি মোটর সাইকেল বিশৃঙ্খলভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান। সাথেসাথে তিনি মোটরসাইকেলগুলোকে শৃঙ্খলাবদ্ধ অবস্থায় যথাযথ স্থানে সরিয়ে নিতে আদেশ দেন। এ সময় উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) প্রিয়দর্শী চাকমাকে উদ্যেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরাই যদি নিয়ম ভঙ্গ করি, তাহলে জনসাধারণকে কিভাবে নিয়ম মানতে বলব। আগে আমাদেরকে যথাযথ আচরণ করে শেখাতে হবে, যেন অন্যরা সেটা অনুসরণ করতে পারে।’
'ছাড় পায়নি ট্রাফিক পুলিশের মোটরসাইকেলও' 1

সরেজমিন কাপ্তাই রোডে গিয়ে ট্রাফিক পরিস্থিতির লক্ষনীয় উন্নতি দেখা যায়। খুব কমক্ষেত্রেই চালকেরা রাস্তায় যাত্রী তুলছেন, সিরিয়াল করা সিএনজিগুলো রাস্তার দুপাশে সারবেঁধে দাঁড় করানো দেখা যায়। পিলার গেড়ে লাল রঙের রশি বেঁধে যাত্রী ওঠানামার স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে কোনরকম বাঁধা ছাড়া নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে দেখা যায়।
এ ছাড়া বাজার কমিটিসমূহের উদ্যোগে দিনভর ট্রাফিক সচেতনতা ও যানজট প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে চলেছে মাইকিং চলেছে।

যানজট নিরসনে পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় সবাই। মো. হানিফ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি এই রাস্তার গাড়িওয়ালাদেরকে এভাবে নিয়ম মেনে চলতে কোনদিন দেখিনি। দুই মিনিটের জায়গায় যেতে দশ মিনিট লাগে। এটা খুবই ভাল কাজ হয়েছে। পুলিশের এসপিকে ধন্যবাদ। তিনি আমাদের কথা ভাবছেন। কিন্তু এরকম যেন সবসময় থাকে, এজন্য রাস্তায় বেশি করে ট্রাফিক দেওয়া দরকার। যারাই নিয়মের বাইরে যাবে তাদেরকে ধরে জেল দেওয়া দরকার।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!