ছাত্রলীগ নেতা আলী মর্তুজা হত্যার ১৮ বছর পর আজ রায়, ৮ আসামির তিনজনই মৃত
প্রায় ১৮ বছর আগে শিবির ক্যাডারদের ব্রাশফায়ারে নিহত হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী মর্তুজা হত্যাকাণ্ডের রায় আজ। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে আসামি করা হয়েছিল আট শিবির ক্যাডারকে। তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী গিট্টু নাসির র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান সাইফুল ইসলাম ও অপর সন্ত্রাসী আইয়ুব আলী ওরফে রাশেদ নিহত হন গণপিটুনিতে।
নিহত আলী মর্তুজার ছোট ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আজ বহু কাঙ্খিত রায়ের দিন। আমরা রায়ের প্রতীক্ষায় আছি। রায় শেষে বিস্তারিত কথা বলবো।
আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করবেন। খুনিদের সাজা কার্যকরের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর আলী মর্তুজাকে নিজ বাড়ি হাটহাজারীর ছড়ারকুলে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়। পরদিন তার বড় ভাই ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী নাসের চৌধুরী আটজনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত শেষে ২০০৪ সালে আটজনকেই অভিযুক্ত করে এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক প্রধান আসামি শিবির ক্যাডার হাবিব খান। আদালত থেকে জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে দুই আসামি মো. হাসান ও মো. ইসমাইল। অপর দুই আসামি শিবির ক্যাডার মো. আলমগীর ওরফে (বাইট্টা আলমগীর) ও তছলিম উদ্দিন ওরফে মন্টু কারাগারে।
এফএম/সিপি