ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে রণক্ষেত্র চন্দনাইশ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। এর জের ধরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে সন্ধ্যা সাতটা থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সোমবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ গাছবাড়িয়ার বাগিচারহাট এলাকায় সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এদিন চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

জানা গেছে, বক্তব্য দিয়ে মফিজুর রহমান অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার পর পরই স্থানীয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটির আহ্বায়ক বক্তব্য দিতে উঠেন। ঠিক তখনই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।

এ সময় পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি সেন্টারের আসবাব ভাঙচুর ছাড়াও কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। এরপর সভাটিও পণ্ড হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করলে প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ চৌধুরী জুনু, চন্দনাইশ পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর লোকমান হাকিম এবং যুবলীগ নেতা নুরুল আমিন। এছাড়া আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এই ঘটনায়। এদের সকলেই আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে।

ইঞ্জিনিয়ার আফসারের অনুসারীরা ঘটনার জন্য স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!