ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা পদবঞ্চিতদের

সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ

সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈমকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে পদবঞ্চিতরা। তার বিরুদ্ধে মোবাইল চুরি, শিবির সম্পৃক্ততা ও মাদকাসক্তির অভিযোগও তুলেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় মহসিন কলেজ ক্যাম্পাসের কলা ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পদবঞ্চিতদের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ করা হয়।

এ সময় পদবঞ্চিত মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী মায়মুন উদ্দিন মামুন বলেন, ‘আমরা এই বিতর্কিত আহবায়ক কমিটি মানি না। যাদের ত্যাগ, শ্রম ও রক্তের বিনিময়ে কলেজ ক্যাম্পাস আজ শিবির মুক্ত হয়েছে তাদের বাদ দিয়ে সাবেক শিবির নেতা, মোবাইল চোর, মাদকাসক্ত ও ইভটিজারকে আহবায়ক করা হয়েছে। যার ছাত্রত্ব নেই, বয়স নেই। আমরা এই তাকেসহ এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।’

এ সময় মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ‘মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর টাকার বিনিময়ে ত্যাগী ও প্রকৃত নেতাকর্মীদের পদবঞ্চিত করে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে অছাত্র, শিবির কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে।’

তারা বলেন, ‘৪১ সদস্যদের এ কমিটিতে যাকে আহবায়ক করা হয়েছে সে একজন মোবাইল চোর। সে গত ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কলেজ ক্যাম্পাসে মোবাইল চুরির অপরাধে গণধোলাই খেয়েছিল। সে একজন সাবেক শিবির কর্মী। সে বিভিন্ন সময় কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিবির কর্মীদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আসছিল। আজ তাকে কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছে।’

পদবঞ্চিত মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী আনোয়ার পলাশ বলেন, ‘কমিটিতে কাজী নাঈম নামে যাকে আহবায়ক করা হয়েছে সে একজন বিতর্কিত ছাত্র নেতা। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে রাজনীতি করতে যে একটা নির্দিষ্ট বয়স থাকে তাও তার নেই। যার বয়স বর্তমানে ৩৬ সে কি ভাবে কমিটিতে আসে তা বুঝতে পারছিনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের ত্যাগ, শ্রম, রক্তের বিনিময় মহসিন কলেজ ক্যাম্পাস শিবির মুক্ত হয়েছে তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। উক্ত কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাঈমকে আমরা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত চিঠি পাঠাবো। প্রয়োজনে তাদের সাথে দেখা করে এই বিতর্কিত কমিটির বিষয়ে কথা বলবো। যতোদিন এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করবে না ততোদিন আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলন শেষে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কলা ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে কলেজে মূল গেইটের সামনে এসে শেষ করেন। এ সময় তাদের মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কাজী নাঈমকে আহবায়ক করে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। এরপর থেকে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

এএন/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!