ছাত্রদল নেতাকে গুলি, মামলার জালে ওসি কামরুজ্জামানসহ ৬ জন

ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা করেন মহানগর ছাত্রদলের সহ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম সাইফের মা ছেনোয়ারা বেগম (৫০)।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বায়েজিদ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মেহের অসীম দাশ, মো. সাইফুল ইসলাম, এএসআই মো. রবিউল হোসেন, এসআই কেএম নজিবুল ইসলাম তানভীর, এসআই নুর নবী ও বায়েজিদের আমিন জুট মিল এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান ওরফে আকাশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৬ জুন রাতে পুলিশের সোর্স আকাশ ফোন করে নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম সাইফকে জরুরি কাজে অক্সিজেন এলাকার হোটেল জামানে দেখা করতে বলেন। সাইফ সেখানে যাওয়ার পরেই বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামানসহ পুলিশের সদস্যরা তাকে প্রাইভেটকারে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় সাইফের মোবাইল ও মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে রাত ১টার দিকে বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, সাইফ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওসি কামরুজ্জামান তার পায়ে গুলি করেন। এ সময় এসআই মেহের অসীম দাশও গুলি করেন সাইফের পায়ে। পায়ে রক্তক্ষরণ হতে হতে জ্ঞান হারান সাইফ। পরে তার জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারেন বাম পায়ে ব্যান্ডেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সাইফকে ঢাকা জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার পা কেটে ফেলা হয়। পরে সাইফের কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া গেছে বলে মিথ্যা মামলায় চালান দেওয়া হয়।

ছেনেয়ারা বেগম এজাহারে যোগ করেন, আরেক ছেলে মো. সবুজকেও রাজনীতির কারণে একাধিক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় জেলে আটকে রাখা হয়েছে। আমার পরিবারে সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমার অন্য ছেলেদেরকেও অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা ও গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!