শীত মৌসুম এলেই কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি হলেও মাঝেমাঝে ঘটে অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা। অভিযোগ বাক্সে দেখা যায় প্রায় অভিযোগই সৈকতে অবস্থান নেয়া ক্যামেরাম্যানদেএ বিরুদ্ধে। এসব ঘটনা এড়াতে এবার মৌসুম শুরুর আগেই ৫ সতর্ক বার্তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুসা নাসের চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পর্যটন সেল সূত্রে জানা যায়, সমুদ্র সৈকতের অন্তত ৪ট পয়েন্টে পর্যটক হয়রানির জন্য ক্যামেরাম্যানদের দায়ী করা হয়। যা জেলা প্রশাসন পর্যালোচনা করে তার প্রমাণও পায়। এ কারণে আগামী মৌসুমে পর্যটক হয়রানি বন্ধে এসব ক্যামেরাম্যানসহ সংশ্লিষ্টদেরকে লাবণী পয়েন্টে জড়ো করে ৬ সতর্কতা বার্তা দেন পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী।
জেলা প্রশাসনের সেই সতর্কবার্তা হলো–
পর্যটকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ বন্ধ করতে হবে
নির্দিষ্ট মূল্যে ছবি তোলা
ক্যামেরাম্যানরা বিচ এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে পারবে না।
লাল রংয়ের দেয়া টি-শার্ট পরিধান করতে হবে।
পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য জোর করা যাবে না।
এসব নির্দেশনা কেউ ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুসা নাসের চৌধুরী জানান, সমুদ্র সৈকতের দুটি পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের অভিযোগ বক্স রয়েছে। সেখানে সম্প্রতি দেয়া অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বেশিরভাগ অভিযোগ ক্যামেরাম্যানদের বিরুদ্ধে। তাই এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য তাদের সতর্ক করা হয়েছে। যদি কেউ নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার জানান, জেলা প্রশাসন কখনো পর্যটক হয়রানি মেনে নেবে না। তাই আজকে মৌসুম শুরুর আগে সবাইকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। যদি কেউ না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে, পর্যটকদের ভ্রমণে গত ১ নভেম্বর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চালু করা হয়েছে। প্রতিদিনই ৩টি জাহাজে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে পারবে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক।
এসএস