‘ছদ্মবেশে পুলিশ’ রিকশাচালক সেজে আফ্রিকা ফেরত মাদকব্যবসায়ী ধরলো

নয় বছর আগে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে পাঁচ বছরের সাজা জুটে তার কপালে। রায়ের পর পালিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশে ফিরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা। কিন্তু পুলিশকে তিনি ফাঁকি দিলেও পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে ফাঁকি দেয়নি। রিকশা চালক ও যাত্রীর ছদ্মবেশ ধরে তাকে ঠিকই গ্রেফতার করে পাঠিয়ে দিয়েছে কারাগারে।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার একটি টিম পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থান নিয়ে আসামী মো. মামুনকে গ্রেফতার করে।

কোতোয়ালী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার ঘাটফরহাদবেগ এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক মামুন পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন মাদক কারবারি। তিনি ২০১১ সালে বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন।

২০১৭ সালে সেই মামলার বিচার শেষে সাজা দেয় আদালত। আদালত তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মামুন দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান দক্ষিণ আফ্রিকায়। এর আগে তিনি ২০১৪ সালে মাদক নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন চাঁদগাও থানা পুলিশের হাতে। সেই মামলাটি এখনো বিচারাধীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু মামুন আমাদের ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছিল। দেশে ফিরে মামুন কোতোয়ালী থানা পুলিশেত চোখ এড়াতে কোতোয়ালী এলাকা ত্যাগ করে পরিবার নিয়ে পতেঙ্গা এলাকায় থাকতে শুরু করেন।’

ওসি মহসিন বলেন, ‘সর্বশেষ আমরা কৌশল পরিবর্তন করে আমাদের তিন এএসআই সাইফুল আলম, রনেশ বড়ুয়া ও মোঃ নুরুন্নবীর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে পতেঙ্গা এলাকায় পাঠালে তারা রিকশাচালক ও সাধারণ যাত্রী বেশে মামুনকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামুনকে আমরা আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!