চোরাই মোবাইলের আইএমইআই বদলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিক্রি, চক্রের ৫ সদস্য ধরা

বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল ফোন কিনে বদলে ফেলা হয় আইএমই নম্বর। এরপর এসব ফোন বিক্রি করা হয় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এভাবেই কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলছিল চোরাই মোবাইল ফোনের রমরমা ব্যবসা। অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লো এই চক্রের পাঁচ সদস্য।

বুধবার (৭ জুন) চকরিয়া পৌরশহরের চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র‌্যাব-১৫। এর আগে অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায়।

আটকরা হলেন পেকুয়ার হাজিরঘোনা এলাকার আলমগীরের ছেলে মো. মোর্শেদ (২৯), চকরিয়া বিএমচড় এলাকার মৃত জামাল উদ্দীনের ছেলে মিজবা উদ্দীন (২৪), চকরিয়ার পহরচাঁদা এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৬) এবং চকরিয়ার ফুলতলার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৯)।

তাদের কাছ থেকে ৫৫টি মোবাইল, ১১টি ডিভাইস, ৪টি ল্যাপটপ, ১টি মনিটর ও ১টি পিসিসহ নগদ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, আটক আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চোরাইকৃত মোবাইল সেট কিনে আইএমই নম্বর পরিবর্তন করে। এরপর তা পুনরায় বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করে। এছাড়া তাদের বেশিরভাগ মোবাইল ফোন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন অপরাধী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত চক্রের কাছেও বিক্রি হয়ে আসছে। এসব তথ্য পেয়েই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, তাদের কাছ থেকে ৫৫টি মোবাইল সেট, ১১টি ডিভাইস, ৪টি ল্যাপটপ, ১টি মনিটর, ১টি পিসি এবং মোবাইল বিক্রির নগদ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত মালামালসহ আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের পক্ষ থেকে মোবাইল চুরিসহ নানা অপরাধে যুক্ত থাকার ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে। এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!