চোখের জলে ভাসিয়ে বাবার কবরের পাশে চিরঘুমে ডা. সমিরুল

তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা ও ভাইয়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় ঘুমালেন মানবিক ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু। তার আগে তিন তিনটি জানাজায় চেনা-অচেনা মানুষকে ভাসালেন চোখের জলে। সবাই বলছেন, এমন ভালো মানুষ আর কোথায় পাবো?

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অর্থোপেডিকের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু। এর আগে তিনি করোনা আক্রান্ত হলেও প্লাজমা থেরাপি নিয়ে সুস্থ হয়ে যান। সে সুস্থতা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। করোনায় ফুসফুসে যে সংক্রমণটা হয়েছিল, সেটি থেকে সেরে উঠতে পারেননি। শেষমেশ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টেই মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। রাত সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। প্রথম জানাজা হয় মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সামনে, দ্বিতীয় জানাজা ফিরোজ শাহ কলোনির বাসভবনের সামনে এবং তৃতীয় জানাজা পারিবারিক কবরস্থানে সম্পূর্ণ হয়।

ডা. সামিরুল ইসলামের সংস্পর্শে স্ত্রী চমেকের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনা ইসলাম এবং দুই সন্তানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু বাসায় চিকিৎসা নিয়ে তারা এখন সুস্থ আছেন।

ডা. সমিরুলের বন্ধু স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এরকম মানুষ হয় না। জীবনে এত মানুষের বিপদে আপদে এগিয়ে এসেছেন, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। অনেক ডাক্তার অনেক পাবো। কিন্তু এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। চিকিৎসাজগতে অর্থোপেডিকের ডাক্তার হিসেবে আরেকজন সমিরুল তৈরি হতে অনেক সময় লাগবে।’

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!