চেক প্রতারণা মামলায় আবাসন ব্যবসায়ী জসিমের এক বছরের কারাদণ্ড

২০ লাখ টাকা জরিমানা

চেক প্রতারণা মামলায় আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এ জেড জেরিন প্রপার্টিজের স্বত্বাধিকারী মো. জসিম উদ্দিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে চেকের সমপরিমাণ (২০ লাখ টাকা) অর্থদণ্ড দেন আদালত। গত বুধবার (২৯ মে) চট্টগ্রাম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ (সপ্তম) আদালতের বিচারক আফরোজা জেসমিন কলি এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এ জেড জেরিন প্রপার্টিজের নির্মাণাধীন বিভিন্ন মার্কেট থেকে দোকানের পজিশন কেনেন সাতকানিয়া উপজেলার ওমর ফারুকের পরিবারের লোকজন। সেই সুবাদে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ওমর ফারুকের সাথে এ জেড জেরিন প্রপার্টিজের স্বত্বাধিকারী মো. জসিম উদ্দিনের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়াতে ওমর ফারুকের কাছ থেকে ২০ লাখ ধার নেন জসিম উদ্দিন। ধারের ২০ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু জসিম উদ্দিনের দেওয়া চেকগুলো ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে ডিজঅনার (প্রত্যাখ্যাত) হয়।

পরে বিভিন্ন সময় টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করলেও পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি জসিম উদ্দিন। এরপর টাকা আদায়ে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ করেননি এই আবাসন ব্যবসায়ী। পরে টাকা আদায়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর সি আর ২৯৪/১৮। দেড় বছর পর গত বুধবার আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিনের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার করইয়ানগর গ্রামে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী এপিপি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে চেকের সমপরিমাণ অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। মামলা দায়েরের শুরু থেকে আসামি মো. জসিম উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

বাদিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান, এডভোকেট শরীফ উদ্দিন, এডভোকেট এএইচএম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট দেওয়ান ফিরোজ, এডভোকেট সাইফুদ্দীন খালেদ, এডভোকেট হাসান আলী, এডভোকেট বদরুল হাসান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!