চুয়েট ক্যাম্পাসে অভিনব চা-বাগান ছড়াবে সবুজ সৌন্দর্য

সবুজ স্বর্গ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাসে তৈরি হচ্ছে মনোমুগ্ধকর চা-বাগান। ক্যাম্পাসের উপাচার্য অফিসের সম্মুখস্থ ডানের ঢালু জমিতে প্রায় দুই একর জায়গাজুড়ে তৈরি করা হচ্ছে এই চা-বাগান।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম এই বাগানে চায়ের চারা রোপণ কাজের উদ্বোধন করেন।

১৭১ একর জায়গা জুড়ে সবুজ সুন্দরে ভরা চুয়েট ক্যাম্পাস। দীঘল বৃক্ষছায়া, পাখির কলতান— এই ক্যাম্পাসকে করে তুলেছে আরও নান্দনিক ও মনোহর। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলতে একটি অনন্য উদ্যোগ— চুয়েট চা বাগান।

চুয়েট ক্যাম্পাসে অভিনব চা-বাগান ছড়াবে সবুজ সৌন্দর্য 1

প্রতি বছর এই সাজানো-গোছানো চুয়েট ক্যাম্পাস দেখতে অনেক পর্যটক ও দর্শনার্থী আসেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে দক্ষিণে আসা পর্যটকরা একবার অন্তত চুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুঁ মারতে পছন্দ করেন। কারণ এখানে রয়েছে পরিপাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এছাড়া হরেকরকম ফুল, ফল, ওষধি, বনজ বৃক্ষ, সাথে লতা-গুল্ম দিয়ে আচ্ছাদিত এই ক্যাম্পাস। আছে একাধিক লেক, বড় পুকুর, খাল, ছড়া। এবার তাতে যোগ হচ্ছে চা বাগানের চিরসবুজ সৌন্দর্য।

জানা গেছে, চুয়েটের একটি পাহাড়ি ঢালু অংশে এই চা বাগান সৃজন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় দুই একর জায়গায় এটি চালু করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে চুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে দুই হাজার চায়ের চারা রোপণ করা হবে। কোদালা টি-এস্টেট থেকে এসব চারা আনা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে সহায়ক হবে এই প্রজেক্টটি। এটি মূলত সবুজ সৌন্দর্য ছড়ানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে। গাছ পরিপুষ্ট হলে সৌখিন হিসেবে হয়তো সীমিত পর্যায়ে ব্যবহারও করা যাবে।

চা বাগান সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত চুয়েটের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, চা বাগান গড়ে তোলার জন্য শুরু থেকেই সকলের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। চুয়েট পরিবারের সকলে এই কাজে সন্তুষ্ট এবং এটিকে সবুজ সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। প্রশাসনিক অনুমোদনের পর আমরা স্থানীয় কোদালা টি-গার্ডেন কর্তৃপক্ষের সাথে দাপ্তরিক যোগাযোগ শুরু করি। এরপর অনুদান হিসেবে চায়ের চারা পাওয়া যায়। পাশাপাশি যাবতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শও দেয় তারা।

এ বিষয়ে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। আমরা সারা বছর সৌন্দর্য বর্ধনের নানা কাজ করে থাকি। এরই অংশ হিসেবে চা বাগান সৃজন করা হচ্ছে। কারিগরি পরামর্শ, সহযোগিতা এবং চা চারা অনুদান হিসেবে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা-বাগান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!