চুয়েটের বিজনেস ইনকিউবেটর—সৃজনশীল তরুণদের খুলে দেবে সম্ভাবনার দ্বার

বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বিশ্বে তাক লাগিয়েছে চীন ও ভারত। সে পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) তৈরির পথে প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সৃষ্টিশীল তরুণদের জন্য খুলে দিবে অপার সম্ভাবনার দ্বার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব ঘোচাবে বিজনেস ইনকিউবেটর। নানা প্রতিকূলতার কারণে দেশের তরুণরা উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস দেখাতে পারছে না। কিন্তু আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। এই ইনকিউবেটরের ফলে সৃজনশীল আইডিয়া কাজে লাগিয়ে যে কেউ তৈরি করতে পারে প্রোডাক্টিভ পণ্য। যা বাজারজাত করার দায়িত্ব নেবে সংশ্লিষ্টরা।

ন্যাশনাল বিজনেস ইনকিউবেশন অ্যাসোসিয়েশন (এনবিআইএ)-এর ২০০৫ সালের তথ্যমতে, কেবল উত্তর আমেরিকায় এসব ইনকিউবেটরের মাধ্যমে প্রায় ১০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ চীনে সাত শতাধিক এবং ভারতে ৭০-এর অধিক ইনকিউবেটর রয়েছে। চীন ও ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তি খাতে দেশিয় সক্ষমতা যুগোপযোগী করতে এবং এ খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে চুয়েটে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১৭ সালের ৬ জুন একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের অনুমোদন দেন। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে সময় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৭৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

তবে নানা চড়াই-উৎরাই অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের নির্মাণ কাজ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) নির্মাণকাজের উদ্ধোধন করবেন ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় বাংলাদেশ রেলপথ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম উপস্থিত থাকবেন। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর।’

এএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!