চুয়েটশিক্ষক মিশুক পেলেন নগর পরিকল্পনা সম্মাননা

দেশের নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনাবিদদের পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সম্মাননা পদক পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজালাল মিশুক।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় পরিকল্পনা পেশা ক্যাটাগরিতে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

পরিকল্পনা পেশা, শিক্ষা গবেষণা ও নগর সাংবাদিকতায় উল্লেখযোগ্য অবদানকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্দেশ্যে সংগঠনটি এবছর সর্বপ্রথম এ ধরনের সম্মাননার আয়োজন করেছে। সারাদেশের নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনাবিদ ও সাংবাদিকদের মধ্যে ছয়জনকে এবছর এই সম্মাননা পদক দেওয়া হয়।

দেশের সব পরিকল্পনা পেশাবিদদের মধ্যে মো. শাহজালাল মিশুক, সালমা এ শফী ও মো. আশরাফুল ইসলাম কে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এসময় তাদের সম্মাননা সনদের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকার প্রাইজমানিও দেওয়া হয়।

সম্মাননা প্রসঙ্গে মো. শাহজালাল মিশুক বলেন, আমার সৃষ্টিকর্তা, পরিবার ও সব শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই অর্জন আমি চুয়েট পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই। আশা রাখছি, তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

শাহজালাল মিশুক, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করে বিইউআরপি ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে প্রভাষক পদে একই বিভাগে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন বিখ্যাত দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় কনফারেন্সে তার গবেষণাপত্র নির্বাচিত হয়। পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার বেশকিছু গবেষণা কাজ গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে উক্ত বিভাগে পদোন্নতি পান তিনি।

দেশের ৩৫টির বেশি পত্রিকা/অনলাইন পোর্টালে তার লেখা কলাম ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি তার লেখা কলাম বিদেশ থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বেশ কয়েকটি পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি ২০১৫ সালে স্নাতক পর্যায়ে চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক- ২০১৫’ পান। পাশাপাশি ২০১৪ সালে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনে ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্কলারশিপ’ পান। এছাড়া তিনি ভালো ফলাফলের জন্য ২০১১ সালে কারিগরি শিক্ষাবৃত্তি পান। এছাড়া তিনি শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে নানা সাফল্যের জন্য অন্য অনেক সম্মাননায় ভূষিত হন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!