চুরির ঘটনা গোপন করতে পতেঙ্গায় ‘অপহরণ’ নাটক

ভাড়ায় চালিত ইজিবাইক চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজেকে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন ইজিবাইক চালক মো. গিয়াসউদ্দিন। তবে শেষ রক্ষা হল না। র‌্যাবের অভিযানে বেরিয়ে এল অপহরণের নামে ইজিবাইক চুরির ঘটনা।

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার নাজিরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই ইজিবাইকসহ ৪ জনকে এ ঘটনায় আটক করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) তাদের আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, সীতাকুন্ড থানার খাদেম পাড়া এলাকার মো. নুর আলমের ছেলে ইজিবাইক চালক মো. গিয়াস উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা সুনামগঞ্জ সদর থানার কাচাষোলঘর এলাকার আব্দুস সোবাহান মাস্টারের ছেলে মঈনুল ইসলাম, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার আমড়াতলা ইউনিয়নের মো. আলতাফের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন ও নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার ছপাটিয়া ইউনিয়নের নবীউল হকের ছেলে বাবুল উদ্দিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট আশরাফ আলী জানান, ‘২২ নভেম্বর পতেঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা ইজিবাইক মালিক মাহবুব আলম র‌্যাব অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, তার ইজিবাইকটি দীর্ঘদিন ধরে চালক মো. গিয়াস উদ্দিন ভাড়ায় চালাতো। ২১ নভেম্বর প্রতিদিনের মত ইজিবাইকটি চালানোর জন্য নিয়ে গেলেও তা আর গ্যারেজে ফেরত দেয়নি৷ পরে তার নম্বর থেকে ইজিবাইকের মালিক মাহবুব ও চালক গিয়াসের স্ত্রীর কাছে সে অপহৃত হয় বলে জানানো হয়। তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে একলাখ টাকা দাবী করা হয়।’

অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল নম্বরটির সূত্র ধরে জানতে পারে যে অপহরণকারীরা পতেঙ্গা এলাকাতে অবস্থান করছে। পরে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গা থানার নাজিরপাড়া এলাকার ডিনাইন রোড থেকে গিয়াসসহ চারজনকে আটক করে৷ আটকের পর র‌্যাব জানতে পারে গিয়াস অপহরণ হননি। সে ইজিবাইক চুরি করে তা বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চার বন্ধু মিলে অপহরণের নাটক সাজিয়েছে। আটক চারজনকে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!